শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের কাছে সাহায্য চাওয়ার বিকল্প নেই : মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

যদি পণ্য সরবরাহে ‘বøকেড’ বা বাধা তুলে নেয়া না হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সহায়তা চাইবেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। এর কোনো বিকল্প নেই। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতে নিজের উদ্বেগ তুলে ধরে এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, আসাম ও মিজোরাম সীমান্তে তীব্র উত্তেজনায় এ দুটি রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব বিরাজ করছে। গোলাগুলিতে আসামের ৬ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা ও তার শীর্ষ স্থানীয় কিছু কর্মকর্তা, ২০০ অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মিজোরাম কর্তৃপক্ষ।
জোরামথাঙ্গা বলেছেন, যদি তার রাজ্যে পণ্য সরবরাহের ‘বøকেড’ তুলে নেয়া না হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে অবনতি ঘটতে পারে। তাই তিনি বার্তা পৌঁছে দেন যে, এমন অবস্থা হলে তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সহায়তা চাইবেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইকোনমিক টাইমস। এই পত্রিকাকে তিনি বলেন, আমার রাজ্যে প্রতিদিনই করোনায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মতো কম জনসংখ্যার একটি ছোট্ট রাজ্যের জন্য দিনে এক হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়া একটি বড় সংখ্যা। আসামের ভিতর দিয়ে কোভিড-১৯ সরঞ্জাম, টেস্ট কিটসহ বিভিন্ন জিনিস আমাদের কাছে আসতে দেয়া উচিত। এটা আমি কেন্দ্রকে বলেছি।
বাংলাদেশ এবং আসাম থেকে সাহায্য চাইতে পারেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কাছে সাহায্য চাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একজন ক্ষুধার্ত মানুষ কী করতে পারেন? এমনকি শেষ সময়ে আমাদেরকে মিয়ানমারের কাছ থেকে চাল ও তেল নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন সময় অনেক বেশি জটিল। কারণ, মহামারি। আমাদের সব সরবরাহ ফুরিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের সময় যে বৈঠক আহŸান করা হয়, তাতে অংশ নেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তিনি মনে করেন, ওই সাক্ষাতের যে উদ্দীপনা বা মর্যাদা তা লঙ্ঘন করেছে আসাম। এখন আমাদের মধ্যে একটি চুক্তি আছে। আমি আশা করবো তা মেনে চলা হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মিজোরামে বর্তমানে কমপক্ষে ১১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে যেন এই সঙ্ঘাত কোনো প্রভাব না ফেলে এটাই তার বড় চাওয়া। তিনি বলেন, মিজোরামের অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। তার ভাষায়, আমাদেরকে অবশ্যই একে থামাতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল সরঞ্জামের সরবরাহ। সূত্র : অনলাইন ইকোনকিম টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Add
Estiack Ahmed Miraj ২ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
Lets join union of Bangladesh.
Total Reply(0)
Add
আমি শুধু তোমাকে চাই ২ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
বাংলা দেশ না করলেও বার্মা সাহায্য করবে
Total Reply(0)
Add
Mushfiq Shetu ২ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
আমাদের সাথে চলে আসেন
Total Reply(0)
Add
Muhammad Mujahid ২ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
জাতীয়তাবাদী দেশ ও সরকার হলে এইসময় মিজোরামকে অবশ্যই বাংলাদেশ সাহায্য করতো... ভূরাজনীতির স্বার্থেই
Total Reply(0)
Add
রতন দেবনাথ ২ আগস্ট, ২০২১, ৮:২১ পিএম says : 0
ভারতের রাজ্য সরকার ব্যাবস্থা একেবারে নির্মূল করে দেওয়া উচিত,তাহলে অন্তত রাজ্যে রাজ্যে হানাহানিটা বন্ধ হবে টাকা ও বাঁচবে,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ