বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘গোহত্যা বন্ধ হলে পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৪৭ এএম

ভারতের গুজরাটের একটি আদালত অবৈধভাবে গবাদি পশু পরিবহনের জন্য এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার সময় গরু জবাইয়ের বিষয়ে কৌতুলহলী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। তাপি জেলা আদালতের প্রধান জেলা জজ তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘গোহত্যা বন্ধ হলে পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

বিচারক সমীর বিনোদচন্দ্র ব্যাস বলেছেন, ‘গোবরের তৈরি ঘরের ওপর পারমাণবিক বিকিরণের প্রভাব পড়ে না।’ এছাড়া গোমূত্রের ব্যবহার ‘অনেক দুরারোগ্য রোগের ওষুধ।’ তবে তার এই দাবির সপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক সূত্র হাজির করতে পারেননি বিচারক।

গত নভেম্বরে দেওয়া আদেশে গো-রক্ষা সংক্রান্ত সব আলোচনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।

আদালত বলেছে, ‘গরু কেবল একটি প্রাণী নয়, বরং মা। একটি গরু হল ৬৮ কোটি পবিত্র স্থান এবং ৩৩ কোটি দেবতার জীবন্ত গ্রহ।’ বিচারক গোহত্যাকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গেও যুক্ত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আজ উত্তেজনা ও উত্তপ্ত মেজাজের মতো সমস্যাগুলোর সঙ্গে গো হত্যার সম্পর্ক রয়েছে। এগুলো বাড়ার একমাত্র কারণ হল গরু জবাই করা। এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সাত্ত্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
kanchon ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৪ এএম says : 0
At first you try to good than all problem will be solved.
Total Reply(0)
Manik ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৮ এএম says : 0
গরুর মাংস রপ্তানির সময় কি গো হত্যা হয় না?
Total Reply(0)
Manik ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৯ এএম says : 0
গরুর মাংস রপ্তানির সময় কি গো হত্যা হয় না?
Total Reply(0)
Md.Elias Patowary ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:১১ এএম says : 0
ভারত এমন এক জগন্য দেশ যাদের তুলনা তারা নিজেই।গরুকে মা মানে, তাদের তথাকথিত মায়ের মাংস রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বতীয়।গরু নিয়ে বোকাশবো রাজনীতি দিল্লির কষাইয়ের পক্ষেই সম্ভব।
Total Reply(0)
jack ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ পিএম says : 0
এ বিষয়ে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : গরুর পবিত্রতা ধারণাটি হিন্দু বিশ্বাসে কোত্থেকে এলো? দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা : ভারতে বৈদিক যুগে (আনুমানিক খিস্ট্রপূর্ব ৮০০-১৫০০ সাল) পবিত্র গরু ধারণাটি ছিল না। বৈদিক আর্যরা গরু বলিদান করত এবং এর মাংস খেত। বৈদিক লেখায় গরুকে সবচেয়ে বেশি উপমা ও রূপক হিসেবে ব্যবহার হয়েছে এবং সময়ের পরিক্রমায় এগুলোকে আক্ষরিক অর্থে ধরে নেওয়া হয়। পরের কয়েক শতকে গরুর পবিত্রতার আংশিকভাবে ধারণা তৈরি হয় এবং প্রাচীন ভারতীয় লেখায় উল্লিখিত বলিদানের উদ্দেশে গরু হত্যা—দুটো বিষয়ই পাশাপাশি চলতে থাকে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : হিন্দুরা কখন গরু খাওয়া ছেড়ে দিল? দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা : খ্রিস্ট শতকের শুরুর দিক থেকে, প্রথম সহস্রাব্দের মধ্যভাগে ব্রাহ্মণদের লেখায় গরু খাওয়ায় নিরুৎসাহ এবং গরু জবাই নিষিদ্ধ করা আরম্ভ করে। মৌর্যযুগ-পরবর্তী গ্রামীণ সমাজে, বিশেষ করে প্রথম সহস্রাব্দের মধ্যভাগে অভূতপূর্ব কৃষি সম্প্রসারণ হয়েছিল; আর এই সময়ে রূপান্তর ঘটে—এ থেকে মানুষের আচরণ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরির বিষয়টি বোঝা যাবে। ভূমির মালিক ব্রাহ্মণদের সামন্তপ্রভু হিসেবে উদ্ভব হয়, তারা আরো বেশি কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে, যা আগের সময়ে ছিল না। ব্রাহ্মণদের হাতে গরু হত্যা নিষিদ্ধ এবং প্রাণীরক্ষার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিই কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : আজকাল গরুর মাংস খাওয়া কি হিন্দুধর্মের সঙ্গে মানানসই নয়? দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা : প্রাচীন ভারতে বহু শতক ধরে গরুর মাংস খাওয়ার রেওয়াজ চালু ছিল, তার প্রমাণ প্রাচীন ভারতীয় লেখায় বলিষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। ‘গরু-বলয়’ নামে পরিচিতি এসব অঞ্চল থেকে ক্রমেই এ রেওয়াজ উঠে যায়। তবে দেশের অনেক অংশে যেমন কেরালা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এখনো এই অভ্যাস (গরু খাওয়া) চালু আছে। কেরালায় ৭২টি সম্প্রদায় গরু খায় এবং এদের অনেকেই হিন্দু। সুতরাং আমি বলব না যে গরুর মাংস খাওয়া হিন্দু-আদর্শের সঙ্গে বেমানান। তবে একই সঙ্গে অনেক হিন্দু আছে যারা গরু স্পর্শ করে না, এমনকি কোনো মাছ-মাংসও খায় না। যা এক শ্রেণির হিন্দুর কাছে গ্রহণযোগ্য, আরেক শ্রেণির কাছে নয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : ভারতে গরুরক্ষা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সে বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা : নাগরিকদের খাদ্য অভিরুচি নিয়ে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। এই নিষেধাজ্ঞায় একটি বিষয় অবজ্ঞা করা হয়েছে যে, নিম্ন বর্ণ ও দরিদ্রদের জন্য আমিষের সস্তা উৎস হচ্ছে গরু। এ ছাড়া মাংসশিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজনের জীবন-জীবিকার ওপরও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং এটা ভারতের অর্থনীতিতে নানাভাবে জড়িয়ে আছে।
Total Reply(0)
jack ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৭ এএম says : 0
হিন্দু ধর্মেই গরুর মাংস খেতে বলা হয়েছে বা বৈধ। সনাতন শাস্র সামবেদের একটি উদ্ধৃতি : সামবেদে বলা হয়েছে – যার নামের প্রথম অক্ষর ‘ম’ এবং শেষ অক্ষর ‘দ’ হবে এবং গো মাংস খাওয়ার আদেশ দিবেন, সেই দেবতাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় দেবতা । “মদৌ বর্তিতা দেবা দকারান্তেপ্রকৃত্তিতা। বৃষানাং বক্ষয়েত্‍ সদা মেদাশাস্ত্রেচস্মৃতা \” অর্থঃ “যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর”ম” ও শেষ অক্ষর “দ” এবং যিনি বৃষমাংস (গরুর মাংস) ভক্ষণ সর্বকালের জন্য পুনঃ বৈধ করিবেন, তিনিই হইবেন বেদানুযায়ী ঋষি।” গরু নিয়ে কি না হচ্ছে ভারতে। কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে মোহাম্মদ আখলাক নামের ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে আর পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়।ধর্ষণ করা জচ্ছে মোসলমান মেয়েদের।ভারতের হিন্দু জনসমষ্টি গো মাংস খায় না। গো হত্যা ও গো মাংস খাওয়াকে তারা পাপ হিসেবে গণ্য করে। এ প্রসঙ্গে আমরা হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসনে গরুর অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে আসলেই কি গরু খাওয়া হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ ? স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “এই ভারতবর্ষেই এমন এক দিন ছিল যখন কোন ব্রাহ্মণ গরুর মাংস না খেলে ব্রাহ্মণই থাকতে পারতেন না। যখন কোন সন্ন্যাসী, রাজা, কিংবা বড় মানুষ বাড়ীতে আসতেন, তখন সবচেয়ে ভালো ষাঁড়টিকে কাটা হতো। (Collected works of Swami Vivekananda, Advaita Asharama,1963, Vol III, page 172)। ঋগ্বেদের প্রাচীন ভাষ্যকার হিসেবে সায়না চার্যের নাম বিখ্যাত। তাঁর আগেও বিভিন্ন ভাষ্যকার, যেমন স্কন্দস্বামী, নারায়ণ, প্রমুখ ঋগ্বেদের ভাষ্য করেছেন। ভাষ্যকর আচার্য সায়ন লিখেছেন তার অনুবাদে, “You (O Indra), eat the cattle offered as oblations belonging to the worshippers who cook them for you. (Atharvaveda 9/4/1)” . “হে ইন্দ্র গ্রহন কর সেসব গরুর মাংস যা তোমাকে তোমার ভক্তরা রন্ধন করে উৎসর্গ করেছে।” ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৩ তে গরু রান্না করার কথা পাওয়া যায়। ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৪ তে ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। Rig Veda 10.86.১৪ [Indra speaks The worshippers dress for me fifteen (and) twenty bulls : I eat them and (become) fat, they fill both sides of my belly ;Indra is above all (the world). উপনিসদে ও গরু খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভালো সন্তান পাবার জন্য ষাঁড়ের মাংস খাওয়া উচিত। Brihadaranyak Upanishad 6/4/18 suggests a ‘super-scientific’ way of giving birth to a super intelligent child. এ ব্যাপারে আরো স্পষ্ট বিধান দিয়েছে মনুসংহিতা। মনুসংহিতা ৫/৪৪ বলা হয়েছে, “শ্রুতিবিহিত যে পশুহত্যা, তাহাকে অহিংসাই বলিতে হইবে, যেহেতু বেদ ইহা বলিতেছে।” অগ্নির কাছে নিবেদনে বলদ, ষাঁড় এবং দুগ্ধহীনা গাভী বলিদানের উল্লেখ আছে। (ঋগবেদ সংহিতা, ১/১৬২/১১-১৩, ৬/১৭/১১,১০/৯১/১৪)। মহাভারতেও গরু খাওয়ার কথা আছে, মহাভারত বন পর্ব, খন্ড ২০৭, অনুবাদে কিশোরী মোহন গাংগুলি। বিষ্ণুপুরাণ বলছে,ব্রাহ্মণদের গো-মাংস খাইয়ে হবিষ্য করালে পিতৃগণ ১১ মাস পর্যন্ত তৃপ্ত থাকেন। আর এ স্থায়িত্ব কালই সবচেয়ে দীর্ঘ (বিষ্ণুপুরাণ ৩/১৬)। বৃষের মাংস [বেদ:১/১৬৪/৪৩],মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮],অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হত। আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [বেদ:৪/১/৬]। আর এজন্যই হয়তোবা স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “You will be astonished ifI tell you that, according to the old ceremonials, he is not a good Hindu who does not eat beef. On certain occasions he must sacrifice a bull and eat it. [The complete works of Swami Vivekananda, Volume 3, Pg 536]” জগত গুরু আদি শংকরাচার্য,যিনি ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন। তিনি অদ্বৈত বেদান্ত শাখার প্রতিষ্ঠাতা। শংকরাচার্যের গীতাভাষ্য হিন্দু ধর্মীয় পন্ডিত মহলে অত্যন্ত বিখ্যাত। তিনি ব্রাক্ষসুত্র অধ্যায় ৩, পাদ্য ১, সূত্র ২৫ এ লিখেছেন, “যজ্ঞে পশু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না, কারন শাস্ত্রই ইহার অনুমোদন দিয়েছে।” বেদে স্পষ্ট ভাবে গরু খাওয়ার কথা থাকলেও হিন্দুরা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। হিন্দুরা হাজির করে ঋগ্বেদ (৭/৫৬/১৭) এই শ্লোক। ঋগবেদের ঐ শ্লোকে নাকি গোহত্যা কে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা হয়েছে। নীচে তুলসীরামের উক্ত শ্লোকের অনুবাদ দিলাম দেখুন তো এরকম কিছু আছে কিনা। এরপর আবার হিন্দুরা ,অথর্ব বেদের (৮/৩/১৫) এই শ্লোক দেখায় যেখানে বলা হয়েছে গো হত্যা ও ঘোড়া হত্যা উভয়ই নিষিদ্ধ। এখানে হিন্দুরা সত্য লুকিয়ে লেখে ঘোড়ার মাংস ও যেকোন প্রানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু সত্য হলো ঐ শ্লোকে বলা হয়েছে, – যারা বহিঃশত্রু দেশকে আক্রমণ করবে এবং প্রানীর মাংস, ঘোড়ার মাংস ও মানুষের মাংস খায় তাদেরকে হত্যা কর। ধারাবাহিক ভাবে এই মন্ত্রগুলো যেমন ৭,৮,৯ পড়লেই পরিষ্কার বোঝা যাবে। অথর্ব বেদের (৮/৩/১৫) এই শ্লোকে স্পষ্টভাবে গরুর দুধ গ্রহনকারীরও একি শাস্তি দেয়ার কথা আছে। তার মানে কি গরুর দুধ খাওয়াও বেদের নিষেধ ? এটি আরো স্পষ্ট আছে ১৭ নাম্বার মন্ত্রে, এখানে বলা গরুর দুধ যে খায় তার বুকে বর্শা মারার কথা। এখন এই মন্ত্রগুলোর অর্থ সার্বজনীন ভাবে নিলে হিন্দুরা কি বলবে যে বেদ অনুসারে দুধ খাওয়াও মানা ? এরপর হিন্দুরা ঋগ্বেদের ১/১৬৪/৮০ এবং অথর্ব বেদের ৯/১০/২০ ও ৭/৭৩/১১ এইসব শ্লোক দেখিয়ে বলে এইসব শ্লোকে গরুকে (আঘ্ন্যা) বলা হয়েছে। আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা উচিত নয় । অথচ এইসব শ্লোকে শুধুমাত্র মা গরুকে অর্থাৎ যে গরু থেকে দুধ পাওয়া যায় সেই গরুর প্রসংগে (আঘ্ন্যা) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে অর্থাৎ যে গরু দুধ দেয় সেই গরু হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। নীচের স্ক্রীনশটে দেখুন (ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৮০) শ্লোকের তুলসীরামের অনুবাদ। তুলসীরাম লিখেছেন,Invioable ( (আঘ্ন্যা) as Mother Cow.
Total Reply(0)
jack ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৮ এএম says : 0
তুলসীরাম অথর্ব বেদ ৯/১০/২০ শ্লোকেও একই কথা লিখেছেন, Invioable (আঘ্ন্যা) as Mother Cow. হিন্দুরা আবার হাজির করে ঋগ্বেদের ৮/১০১/১৫ এই শ্লোক…. (Do not kill the cow. Cow is innocent and aditi – that ought not to be cut into pieces) মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, “I know there are scholars who tell us that cow-sacrifice is mentioned in the Vedas. I… read a sentence in our Sanskrit text-book to the effect that Brahmins of old (period) used to eat beef. ( M.K.Gandhi, Hindu Dharma, New Delhi, 1991, p. 120). অর্থাৎ, “আমি জানি (কিছু সংখ্যক পণ্ডিত আমাদের বলেছেন) বেদে গো-উৎসর্গ করার কথা উল্লেখ আছে। আমি আমাদের সংস্কৃত বইয়ে এরূপ বাক্য পড়েছি যে,পূর্বে ব্রাহ্মণরা গো-মাংস ভক্ষণ করতেন।” (হিন্দুধর্ম,এম.কে. গান্ধী,নিউ দিল্লি,১৯৯১,পৃ. ১২০)॥ . অতএব এবার নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় গরু খাওয়া হিন্দু ধর্ম সম্মত। পৃথিবীতে ৬৫০০ এর ও উপরে ধর্ম আছে। বেশীর ভাগ ধর্ম সর্ম্পকে আমার কিছুই জানা নেই। সবাই সবার ধর্মকে সত্য ধর্ম এবং সঠিক ধর্ম বলে মনে করে। যেমন: ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদি..জৈন, শিখ ইত্যাদি। প্রত্যেকটা ধর্ম এর আলাদা বৈশিষ্ট্য, কালচার ও রিতিনীতি। কোন ধর্ম এর সাথে কোন ধর্ম এর তেমন মিল পাওয়া যায় না। এমনকি এক এক ধর্ম এর আহার এ ও নানা বিধি নিষেদ আছে। এক ধর্ম যে খাদ্যকে উপাদেয় মনে করছে, অন্য ধর্ম সেটাকে নিকৃষ্ট খাদ্য মনে করে বর্জন করছে। যেমন : গরুর মাংস ভক্ষনে মোসলমানদের কোন বিধিনিষেধ নাই, কিন্তু হিন্দুরা গো-মাংস ছুঁয়ে ও দেখেনা। চলুন জানি কেন হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না। হিন্দু ধর্মে গরুকে ‘পবিত্র মাতা’ বলা হয়ে থাকে। গরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে বলে হিন্দু ধর্মে গো-হত্যা নিষিদ্ধ। তবে গরুর চামড়া দিয়ে জুতো তৈরী করে তা ব্যবহার করা কিন্তুহিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ নয়। অবশ্য বৌদ্ধ যুগের আগ পর্যন্ত হিন্দুরা প্রচুর গোমাংস ভক্ষণ করতেন এ তথ্যও অনেকেই জানেন। ব্যাসঋষী স্বয়ং বলেছেন, ‘রন্তিদেবীর যজ্ঞে একদিন পাচক ব্রাক্ষ্মণগণ চিৎকার করে ভোজনকারীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন,মহাশয়গণ! অদ্য অধিক মাংস ভক্ষণ করবেন না, কারণ অদ্য অতি অল্পই গো-হত্যা করা হয়েছে; কেবলমাত্র একুশ হাজার গোহত্যা করা হয়েছে। (সাহিত্য সংহিতা-3য় খন্ড, পৃষ্ঠা-476) বৌদ্ধযুগের পূর্ব পর্যন্ত হিন্দুরা যে প্রচুর গরু গোশত খেতেন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত Beef in Ancient India গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত ‘সোহংগীত’, ‘সোহং সংহিতা, ‘সোহং স্বামী’ গ্রন্থগুলোতে, আচার্য্য প্রফুলস্ন চন্দ্র রায়ের ‘জাতি গঠনে বাধা’ গ্রন্থে উলেস্নখ আছে। এসব গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধযুগের আগে পর্যন্ত গো-হত্যা, গো-ভক্ষণ মোটেই নিষিদ্ধ ছিল না। মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ন থেকে যেতো। এখন প্রশ্ন হলো-ধর্মীয় গ্রন্থে গো-মাংস ভক্ষণের প্রমাণাদি থাকার পরও হিন্দুরা গো-মাংস ভক্ষণ করে না কেন? আমরা জানি যে হিন্দু ধর্মে গরুর গোশত খাওয়া নিশেধ আছে ? আসলেই কি তা ? যে গরু কোরবানি নিয়ে বালতে দেও-ভন্ড রা ফতোয়া পর্যন্ত দিল যে “গরু কোরবানি হারাম”……… আসলে ব্যাপারটা কি ?? নিচে দেখুন এক হিন্দু – ব্রাহ্মণ কি বলছে গোমাংস খাওয়া নিয়ে প্রচুর তর্ক বিতর্ক হয়েছে । তাই কয়েকটা কথা বলি । অনেকেরই ধারণা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গোমাংস খায় না বা খেত না । এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা । প্রথমেই বলি, সংস্কৃতে একটা প্রাচীন শব্দ আছে । “ গো-সঙ্খ্য” । এই শব্দটার অর্থ হলো- গো পরীক্ষক । পরে অর্থ সঙ্কুচিত হয়ে “গোপ” হয়েছে । এই পরীক্ষা কেন হতো ? কারণ, আর কিছুই না , যে বলদ বা ষাঁড়কে কাটা হবে, তার স্বাস্থ্য কেমন আছে সেটা দেখার জন্য । না পরীক্ষা হলে, সেই মাংস মানুষের জন্য খারাপ হতে পারে । মাংস তিন প্রকার :- ভূচর ( যারা ভূমিতে চরে ) খেচর ( যারা আকাশে ওড়ে ) জলচর ( যারা জলে বিচরণ করে ) এক জলচর বাদে, স্ত্রী- পশু বধ নিষিদ্ধ ছিল, কারণ তাতে প্রজনন কমে যাবে । মাছেদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা শক্ত বলেই হয়তো, এই ব্যাপারটা হয়েছিল । বৌদ্ধ যুগের আগে , হিন্দুরা প্রচুর গোমাংস ভক্ষণ করতো এ তথ্যও অনেকেই জানেন। ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত Beef in Ancient India গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত অনেক গ্রন্থে, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ‘জাতি গঠনে বাধা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে। এসব গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধযুগের আগে গো-হত্যা, গো-ভক্ষণ মোটেই নিষিদ্ধ ছিল না। মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ণ থেকে যেতো । তাই অতিথির আর এক নাম – গোঘ্ন । বৌদ্ধ সম্রাট অশোকের সময় থেকে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়। সুতরাং বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাব ২০০০ বছর আগে হলেও গো-হত্যা আরও অনেক পরে নিষিদ্ধ হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সম্রাট অশোকের নিষেধাজ্ঞা হিন্দুরা মানছে কেন? এটাও ধর্মীয় সংঘাতের ফল । বৌদ্ধ ধর্ম এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, প্রচুর লোক, বিশেষ করে তথাকথিত “ নীচ জাতি” আকৃষ্ট হয়েছিল, এই ধর্মের প্রতি । ব্রাহ্মণ্য বাদী এবং ব্রাহ্মণরা প্রমাদ গুনলো । তারাও পুরোপুরি মাছ- মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ভেক ধারী হয়ে গেল ।
Total Reply(0)
jack ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৯ এএম says : 0
মূলত, এটা উত্তরভারতেই হয়েছিল । তাই এখনও ওটা “গো- বলয়” । বেশীদিনের কথা নয়, আলিবর্দির সময়ে রামপ্রসাদের গুরু কৃষ্ণা নন্দ আগম বাগীশ একটা বই লেখে। নাম – বৃহৎ তন্ত্রসার । এতেও অষ্টবিধ মহামাংসের মধ্যে গোমাংস প্রথম বলেই বলা হয়েছে । ঋগ্বেদে ফিরে আসি । কি দেখছি ? প্রথম মণ্ডলের ১৬৪ সূক্তের ৪৩ নং শ্লোকে বৃষ মাংসের খাওয়ার কথা আছে । মহিষ মাংসের উল্লেখ আছে পঞ্চম মণ্ডলের ২৯ নং সূক্তের ৮ নং শ্লোকে । মোষ বলি আজও হয় । নেপালে যারা মোষের মাংস খায়, তাদের ছেত্রী বলা হয় । এছাড়া, বনবাস কালে রামচন্দ্রের লাঞ্চের মেনু কি ছিল, অনেকেরই জানা নেই । তিন রকম মদ ( আসব ) গৌড়ী, ( গুড় থেকে তৈরি ) পৌষ্টি, ( পিঠে পচিয়ে তৈরি ) মাধ্বী ( মধু থেকে তৈরি ) । এর সঙ্গে প্রিয় ছিল- শূলপক্ব গোবৎসের মাংস । বিশ্বাস না হলে রামায়ণ পড়া উচিত । রামকে যদি কল্প চরিত্র বলেও ধরি, তাহলেও এই গুলো তখনকার খাদ্যাভ্যাসের নমুনা । বেদ-গীতায় মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ; গরু খাওয়া, কবর দেয়া সিদ্ধ মূর্তিপূজা ১. প্রচলিত মূর্তিপূজা বেদ কখনও সমর্থন করেনি বরং বিরোধিতা করেছে: ‘আজ্ঞা যজন্তি বিশ্বেশং পাষাণাদিষু সর্বদা’-ভগবান মূর্তিতে নন। ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভূতের ভজনাই ঈশ্বরের উপাসনা। সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমাস্থিত’- ইত্যাদি ৬/৩১ ও ২২৩, ২২৪ পৃ; সূত্র: শ্রীগীতা: পৃ: ৩৭; ২৭ সংস্করণ, প্রেসিডেন্সি লাইব্রেরী,কলিকাতা] অর্থ: যে সর্ব ভূতে অবস্থিত নারায়ণকে উপেক্ষা করে মূর্তিতে নারায়ণের অর্চনা করে, সে ভস্মে ঘৃতাহুতি দেয়। ২. মনুসংহিতায় কেবলমাত্র বৈদিক যজ্ঞাদি ও বৈদিক দেবগণেরই উল্লেখ আছে, পৌরাণিক দেবতা ও প্রতিমা পুজাদির কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই। কিন্তু পরবর্তী ব্যাস, পরাশর প্রভৃতি সংহিতায় পৌরাণিক ত্রিমুর্তি, নানা দেবতার পূজা-পদ্ধতি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। [দ্র: শ্রীগীতা; ২৭ সংস্করণ, পৃ: ১২; প্রেসিডেন্সি লাইব্রেরী, কলিকাতা] গরুর মাংস সকলেরই জানা যে মূর্তিবাদ বা পৌত্তলিক জাতি থেকেই মুছলমানদের উৎপত্তি। উল্লিখিত বেদের আলোকে মুছলমানগণ হিন্দু থাকাবস্থায়ই গরু খেত অর্থাৎ পূর্বপুরুষ হিন্দু থেকেই গরুর মাংস খাওয়া শিখেছে। হিন্দুদের গরুর গোস্ত খাওয়া বেদের কোথাও নিষিদ্ধ নেই; বরং খাওয়ার বিধান আছে: “-বৃষের মাংস [বেদ:১/১৬৪/৪৩], মহিষের মাংস [বেদ: ৫/২৯/৮], অজের মাংস [বেদ:১/১৬২/৩] খাওয়া হত।আরও বলা হয়েছে পরস্বিনী গাভী মানুষের ভজনীয় [বেদ:৪/১/৬]। গো-হত্যা স্থানে গাভীগণ হত্যা হত [বেদ:১০/৮৯/১৪]। ইন্দ্রের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করা হয়েছে। [ঋকবেদ: ১০: ৮৬: ১৪]। এমনকি উপনিষদ বলছে:‘বেদজ্ঞান লাভ করতে হলে, স্বাস্থ্যবান সন্তান লাভ করতে হলে ষাঁড়ের মাংস খাওয়া জরুরি।” [সূত্র: বেদ; ২য় প্রকাশ, পৃ: ১৩, ৬৭; হরফ প্রকাশনী, কলিকাতা]
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন