অর্থনৈতিক রিপোর্টাও : অক্টোবরে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রথম সপ্তাহে না হলে অক্টোবরের মধ্যেই দাম কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের ভেজালবিরোধী অভিযানে পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমলে ভোক্তাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে। পরিবহন ভাড়া যাতে কমে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল পেট্রোল-অকটেন লিটারে ১০ টাকা ও ডিজেলের দাম ৩ টাকা দরে কমিয়ে ডিজেল-কেরোসিন ৬৫ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেন যথাক্রমে ৮৬ টাকা ও ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
দাম কমানোর আগে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, তিন ধাপে কমানো হবে জ্বালানি তেলের দাম। প্রথম দফায় লিটার প্রতি (পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল) ৬ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) প্রতি ব্যারেলের দাম উঠেছিলো ১২২ ডলার। সে বৃদ্ধির অজুহাতে ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় বাংলাদেশে। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিলো। বর্তমানে ক্রুড অয়েলের দাম কমতে কমতে ৪০ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম লিটার প্রতি ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোল-অকটেনের দাম পয়েছে ৫৫ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন