কর্পোরেট রিপোর্ট : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর করা শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি জটিলতা দূর করতে নীতিমালা শিগগিরই আসছে। অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অনুমোদন পেয়ে গেছে। শিগগিরই নীতিমালাটি আদেশ আকারে জারি হবে এবং দেশের সব কাস্টমস স্টেশনের কমিশনারদের কাছে পাঠানো হবে। এটি হলে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগের মতো এনবিআরের অনুমতি লাগবে না। সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশনারের অনুমতিতেই পণ্য খালাস করা যাবে। তবে কমিশনারের কাছে শিল্পের প্রোফরমা ইনভয়েস, লে-আউট প্ল্যান, নকশা, প্রকল্পপত্র, টার্নকি চুক্তিসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। কমিশনারের অনুমোদন পেলে একাধিক চালান এমনকি একাধিক উৎস দেশ থেকেও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করা যাবে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে হয় বলে শিল্প উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সভা সেমিনারে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত ও ঝামেলা কমাতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্ক-কর রেয়াতি সুবিধা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করেছে এনবিআর। নীতিমালা বলা হয়েছে, প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের মেশিন এবং এগুলোর সংযোগকারী পাইপ, ক্যাবল, ট্রান্সমিশন, অ্যাংগেলসহ অন্যান্য ডিভাইসকে মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য প্ল্যান্ট অথবা কারখানার লে-আউট প্ল্যান, নকশা ও অন্যান্য কাগজপত্র এনবিআর ও কাস্টমস স্টেশনের কমিশনারের কাছে জমা দিতে। প্ল্যান্টের প্রত্যেক অংশকে আলাদা পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে আলাদা এইচএস কোডে শ্রেণীবিন্যাস করা হবে না। শিল্পের মূল কাজ অনুযায়ী এসব যন্ত্রপাতিকে সংশ্লিষ্ট হেডিংয়ের অধীনে এইচএস কোডে শ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে শুল্ক আদায় করা হবে। তবে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য প্রি-ফ্রেব্রিকেটেড বিল্ডিং, নির্মিত ভবন, শেড, দেয়াল কিংবা প্ল্যান্টের নকশাবহির্ভূত পণ্য মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে আমদানি করা যাবে না। মূলধনী যন্ত্রপাতি একটি কাস্টমস স্টেশন দিয়ে আমদানি করলে এনবিআরের অনুমতি নেয়া লাগবে না। রেয়াতি প্রজ্ঞাপনে আওতাভুক্ত নয় এমন নতুন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে চাইলে এনবিআরে যাবতীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। আবেদন বিবেচনার জন্য এনবিআর ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে। শুল্কনীতির সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিনিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি, ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি ও শুল্কনীতির প্রথম সচিব কমিটিতে থাকবেন। এই কমিটির সুপারিশ বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ আকারে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের ভিত্তিতে ওই প্ল্যান্টের যন্ত্রপাতি রেয়াতি সুবিধা দিয়ে আমদানি করার আদেশ জারি এনবিআর করে কমিশনারদের পাঠাবে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে নীতিমালায় ৬টি শর্ত দেয়া হয়েছে। আমদানি করা যন্ত্রপাতি অন্য কাজে ব্যবহার ও মালিকানা হস্তান্তর করা হলে স্বাভাবিক হারে শুল্ক কর দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন