কর্পোরেট রিপোর্ট : গবেষণা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে ঐতিহ্যবাহী মসলিন পুনরুদ্ধার সম্ভব বলে মত দিয়েছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষক, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেছেন, মসলিন ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ‘রিভাইবল অব মসলিন টেক্সটাইল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ড মিউজিয়ামের সিনিয়র কিউরেটর রোজমেরি ক্রিল। উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, ইউনেসকোর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিটট্রিক কালডুন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজু রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান এরশাদ হোসেইন, ইউমেন ইউনিভার্সিটি ভিসি ড. পারভিন, গবেষক ড. হামিদা মোরশেদ প্রমুখ। গবেষকরা বলছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণা করে মসলিন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। এ জন্য আমাদের কৃষি, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক ছাতার নিচে এসে কাজ করতে হবে। তারা বলেন- আইনি দুর্বলতার সুযোগে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের বেশ কয়েকটি প্যাটেন্ট অন্যরা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মসলিন, জামদানি আমাদের সম্পদ। এর মালিকানা আমাদের আনতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে মসলিন ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত গবেষণার ওপর জোর দেন তারা। দেশে একটি বস্ত্র জাদুঘর স্থাপনে আহŸান জানান তারা। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের হারিয়ে যাওয়া মসলিন কাপড় ফিরিয়ে আনতে এর ডিএনএ পরীক্ষা করে এর বীজ সংগ্রহের কাজ চলছে। মসলিন বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় একটি খাত। এক সময় মসলিনে ২৮ কোটি রুপি বাণিজ্য ছিল। এই ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার করা গেলে আমরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন