‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে সীমিত পরিসরে ভারতে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারতের সিদ্ধান্ত পেলে শিগরিগই দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালু হবে। বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। তিনি বলেন, আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান ভারতের সিভিল এভিয়েশনকে একটা চিঠি দেবেন। তারা সিদ্ধান্ত জানালেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ভারতের সিদ্ধান্তের পর ফ্লাইট চালু হলেও এটা খুব সীমিত আকারে হবে জানিয়ে মাশফি বিনতে শামস বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সপ্তাহে একটি বা দুইটি ফ্লাইট চলবে। যে শর্তে স্থলবন্দর দিয়ে মানুষ আসছে, ফ্লাইটে আসতে গেলেও একই শর্ত থাকবে।
এর আগে, গত ২৭ জুলাই পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তার দফতরে সাংবাদিকদের জানান, এয়ার বাবল চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আগস্টে সুবিধামতো সময়ে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে, বিমান আগামী ৯ আগস্ট ঢাকা-হংকং-ঢাকা রুটে একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিপণন ও বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, হংকংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনুরোধে বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছি এবং বাংলাদেশ ও হংকংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছি। বিমানের এই কর্মকর্তা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯ আগস্ট দুপুর সোয়া ২টায় ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটের ৯০ জন যাত্রীর প্রায় সবাই শিক্ষার্থী।
বিমান সূত্র জানায়, ফিরতি ফ্লাইটে মোট ৬০ জন যাত্রী ফেরার কথা রয়েছে। তারা করোনা পরিস্থিতির কারণে হংকংয়ে আটকা পরেছেন। সালাহউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির কারণে ঢাকা-হংকং রুটের নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে এই রুটে কেবলমাত্র সপ্তাহে দুটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত ৫ জুলাই ভারতসহ ৮টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ভারত ছাড়া বাকি দেশগুলো হলো- বতসোয়ানা, নেপাল, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন