বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলা গুলোতে সুপেয় পানি সঙ্কটাপন্ন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পুকুর ও দিঘী খননে নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ওই দুটি প্রকল্পের যাচাই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সভায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগ বেশি হচ্ছে এবং যেকোনো দুর্যোগে উপকূল অঞ্চলে সুপেয় পানি সঙ্কটে মানুষের খুব কষ্ট হয়।এ জন্য সরকারি জমিতে পুকুর, দিঘী খনন এবং তা রক্ষণাবেক্ষণ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে নতুন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানির এসব পানিধারা থেকে সংযোগ মাধ্যমে লোকালয়ে পানি পৌঁছানো হবে।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, জমিকে বন্যা ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষায় এবং নৌ- যোগাযোগ সুগমের উদ্দেশ্যসহ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্যে পুকুর ও দিঘী খনন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উপকূলীয় জেলা গুলোতে সুপেয় পানি সঙ্কট কেটে যাবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পুকুর ও দিঘী খননে নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছি।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানির পুনর্ভরণ, দুর্যোগে সুপেয় পানি সরবরাহ, পানির লবণাক্ত প্রভাব হ্রাস, কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন উন্নয়নে ৪৬ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার এবং তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকার দুটি পৃথক প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চায় মন্ত্রণালয়। জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পৃথক একটি প্রকল্প একই সভায় আলোচনা হয়। টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া এবং গোপালগঞ্জ সদরের প্রায় ৬৫ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিকে বন্যা ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষায় এবং নৌ- যোগাযোগ সুগমের উদ্দেশ্যসহ প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রোকন উদ দৌলা, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আলম আরা বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম সামছুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন