শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গত ৯ মাসে দেশে ৩৬৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আসকের প্রতিবেদন
স্টাফ রিপোর্টার : গত নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সারা দেশে ৩৬৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। চলতি বছরের নয় মাসের মধ্যে এসব শিশুকে হত্যা করা হয়। প্রতিদিন এক জনেরও বেশি শিশু হত্যার শিকার হয়েছে বাংলাদেশে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ তথ্য জানিয়েছে।
আসকের প্রতিবেদন অনুসারে সবচেয়ে বেশি হত্যার শিকার যারা হয়েছে, তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছর, এ সংখ্যা ১৩৩। এরপর যথাক্রমে ০-৬ বছর ১১০ জন, ৭-১২ বছর ১০২ জন। বয়স উল্লেখ নেই ২১ শিশুর। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৪৭টি।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আসক কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য দিয়ে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৩-১৮ বছরের মধ্যে যারা হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগকে হত্যা করা হয়েছে শারীরিক নির্যাতনের পর, এই সংখ্যা ২৫। ৭-১২ বছর বয়সীদের বেশিরভাগ হত্যার শিকার হয়েছে পারিবারিক নির্যাতনের পর, সংখ্যা ১৯। ০-৬ বছর বয়সীদের মধ্যে হত্যার শিকারও বেশিরভাগকেই হত্যা করা হয়েছে পারিবারিক নির্যাতনের পর।
শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৭৫৪টি। এর মধ্যে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনাই সবচেয়ে বেশি, ২৮৩ জন। নির্যাতিতদের মধ্যে ১৩-১৮ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি, ২৯৩ জন। ৭-১২ বছরের ২৫৫, ০-৬ বছর বয়সের ৫৩ এবং বয়স উল্লেখ নেই এমন নির্যাতিতদের সংখ্যা ১৫৪ জন। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৮৪টি।
অন্যদিকে, এই নয় মাসেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছেন ১৫০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা পড়েছে পুলিশের হাতে, ৮৩ জন।
কারা হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাজতি, ৩৪ জন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি ও কয়েদি উভয়ের মৃত্যু সংখ্যাই বেশি, যথাক্রমে ২১ ও ১৫।
রাজনৈতিক সংঘাত ঘটেছে ৮৫৫টি। এসব ঘটনায় আহত ১০ হাজার ৮৬৩ জন ও নিহত ১৬৮ জন। নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগেরই ৭৪ জন এবং সাধারণ মানুষ ৮৪ জন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসস্থান ভাংচুর ও অগ্নিকা-ের ঘটনা ৫৮, প্রতিমা-পূজাম-প-মন্দির ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ৭৯, জমি বসতবাড়ি দখলের ঘটনা ৫টি। নির্যাতনে আহতের সংখ্যা ২৭ ও নিহত ৭।
সাংবাদিক নির্যাতনের সংখ্যা ৯৫। সীমান্তে সংঘাতের শিকার হয়েছেন ৯৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮ জন।
সারাদেশে গণপিটুনিতে মারা গেছে ৩৪ জন। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ২৮টি, মামলা হয়েছে নয়টি, মৃত্যু হয়েছে একজনের। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের ঘটনা আটটি। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনা ৪৯টি। এর মধ্যে ১৩-১৮ বছর বয়সীরাই বেশি, ২২ জন। যৌতুক কেন্দ্র করে নির্যাতনের ঘটনা ১৯৩টি। পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ৩০৫টি। যৌন হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনা ১৯৩টি। ধর্ষণের ঘটনা ৫১২টি। এর মধ্যে দুটি ঘটনা পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন