শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফের ভারতীয় নিম্নমানের চাল

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারত থেকে আবারো নিম্নমানের চাল আমদানি করা হয়েছে। খালাস করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাদ্য গুদামে প্রেরণ শুরু হওয়ার পর খাওয়ার অযোগ্য এসব চাল নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন গুদাম কর্মকর্তারা। আর তাতে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে চাল খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাত্র তিন মাসের মাথায় ভারত থেকে খাওয়ার অযোগ্য চালের আরো একটি চালানে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মো. শফিউল আলম গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজটিতে আনা চাল পরিদর্শন করে খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার খাদ্য বিভাগের গঠন করা যৌথ টিম দ্বিতীয় দফায় জাহাজ থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করেছে। বিষয়টি খাদ্য অধিদফতরকে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত চাল খালাস বন্ধ থাকবে। খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২২ জুলাই ভারত থেকে ১৯ হাজার ২০০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি ড্রাগন’ নামে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ওই চাল সরবরাহ করেছে ভারতের ‘ট্রিটন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানি করা বেশির ভাগ চাল লালচে, ঘোলা এবং ভাঙা। এছাড়া কিছু কিছু চাল খাওয়ার অনুপযোগী। এর আগে চলতি বছরের ৮ মে একই জাহাজে করে ২০ হাজার টন চাল নিয়ে আসা হয়। সেই চাল নিম্নমানের হওয়ায় পরিবহন ঠিকাদাররা খালাস বন্ধ করে দেন। পরে নানা দেন দরবার করে সে চালের বিরাট অংশ খাদ্য বিভাগকে গছিয়ে দেওয়া হয়।

একই জাহাজে ফের খাওয়ার অযোগ্য চাল এলো। জাহাজটি বন্দরে ভেড়ার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাল খালাসের নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। ১ আগস্ট আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করে তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় গুণগতমান ভালো ও খাওয়ার উপযোগী বলে প্রতিবেদন দেওয়ার পর ৩ আগস্ট খালাস শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ টন চাল খালাস হয়। ইতোমধ্যে খালাস হওয়া ওই চাল নারাছুগঞ্জ (সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো) সিএসডিসহ আরও কয়েকটি সিএসডিতে আনলোড করা হয়েছে। কিছু এলএসডিতে চাল পৌঁছালে দেখা যায় মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং খাওয়ার অনুপযোগী। এরপর এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে চাল গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এবারও নিম্নমানের চাল গছাতে চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়। জাহাজের উপরের দিকে কিছু বস্তায় ভাল চাল দিয়ে নিচের বস্তাগুলোতে নিম্নমানের চাল ভরে দেওয়া হয়। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপরের বস্তা থেকে চালের নমুনা নিয়ে খাওয়ার যোগ্য বলে প্রতিবেদন দিয়ে দেন। তবে কিছু বস্তা নামানোর পর জাহাজের বাকি সব বস্তায় নিম্নমানের চাল পাওয়া যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন