শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সংবিধান পরিবর্তনের কথা ভাবছে পেরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

পেরুর নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশটির জন্য নতুন সংবিধান তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত এবং অস্থিতিশীল পেরুর শাসক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তৃতায় কাস্তিলো অর্থনীতিতে ‘দায়িত্বশীল পরিবর্তন’ এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার জন্য আরো অর্থ বরাদ্দেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ভেনিজুয়েলার হুগো শ্যাভেজ এবং বলিভিয়ার ইভো মোরালেসের মতো বামপন্থী প্রেসিডেন্টদের অনুসরণ করে একটি নতুন সংবিধান তৈরির জন্য একটি সংবিধান সমাবেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন কাস্তিলো এবং এর জন্য স্পষ্টভাবে বৃহত্তর জনসমাবেশ এবং কঠিন আলোচনার প্রয়োজন হবে। এতে পেরুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে যদি তা ফলপ্রসূ হয়, দেশটি যে অস্তিত্ব সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে তা সমাধান করার অন্তত একটি সুযোগ থাকবে, যা দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যাবে।

পেরুর উত্তর আন্দিজের একজন কৃষক, স্কুল শিক্ষক এবং ইউনিয়ন নেতা কাস্তিলো দেশের এমন একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় এবং পেরুর বাকি সব প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বামপন্থী, কম অভিজ্ঞ এবং গেল এপ্রিলের নির্বাচনের প্রথম দফায় মোট ভোটের মাত্র ১৫ শতাংশ জিতেছিলেন। পরে জুনের নির্বাচনে তিনি সীমিত ব্যবধানে জয়লাভ করেন। কঠিন এক পরিস্থিতিতে পেরুর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কাস্তিলো। মহামারিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটি অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় জনসংখ্যার অংশ হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু অবলোকন করেছে, দেশটির দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, গত বছর পেরুর অর্থনীতি ১১ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে, সরকারী হিসাবে দারিদ্র্যের হার ২০ শতংশ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে। এসবই কাস্তিলোর বিজয়ের মূল কারণ।

তবে, কার্যকরভাবে পেরুকে শাসন করার জন্য বামপস্থী কাস্তিলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কাস্তিলোরার প্রধান সম্পদ হল তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সততা ও স্বচ্ছতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে তার ভাবমর্যাদা, যা এ মুহূর্তে পেরুর জন্য অতি প্রয়োজন। দেশটির এক প্রাক্তন মন্ত্রী কাস্তিলোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘যদি তিনি এক বছর টিকে থাকেন, তবে সম্ভবত পাঁচ বছরও টিকতে পারবেন’ এবং তার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন।

কাস্তিলোর নেতৃত্ব পেরুর জন্য কী বয়ে আনবে, তা নির্ভর করবে আগামীতে তিনি যেসব পদক্ষেপ নেবেন, সেসবের ওপর। পেরুর বিভক্ত অঞ্চল কস্তা এবং সেরার পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু দীর্ঘকালের রক্ষণশীল পেরুর আবহে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একটি সম্পূর্ণ বামপন্থী সরকারের বিরল সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট, কেএসইউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৯ আগস্ট, ২০২১, ১:৫৭ এএম says : 0
বিভিন্ন দেশে সংবিধান সংশোধন বদলি করার ক্ষমতা আছে অথবা বদলি করেন,কিন্তু বিশ্বে বিভিন্ন দেশ নিয়ে যে নকশা করা হইয়াছিল যেমন বিভিন্ন দেশের লোক সংখ্যা আয়তন এই সব,কিন্তু এত শত শত এবং হাজার হাজার বসর পরেও নকসা বদলি করা হয় না কি জন্য,বিশ্বে বিভিন্ন দেশ লোক সংখ্যা কম কিন্তু দেশের আয়তন বহু গুন,আর জনসংখ্যা লোকজন কোটি কোটি তাদের দেশের আয়তন সামান্য,কিন্তু মানব জাতি হিসেবে সবাই পৃথিবীতে এসেছে তাদের কি অধিকার আছে এই পৃথিবীতে,যেমন কিছু কিছু তাদের লোক সংখ্যা কম তাদের দেশ সম্পদ শালী কিন্তু তাহারা যে দেশ গুলির লোক সংখ্যা বেশি এবং গরিব তাদের খেয়াল করে না ,এত এব বিশ্বের সমস্ত দেশের লোক সংখ্যা হিসাবে নকসা করা উচিত,অন্যথায় যাদের দেশের আয়তন বেশী এবং লোক সংখ্যা কম তাহারা যাদের লোক সংখ্যা বেশী এবং আয়তন কম তাদের পতি খেয়াল করতে হবে করা জরুরি,অন্যথায় নকশা বদলি করা জরুরি এই বেপারে চিন্তা ভাবনা করা দরকার,কেউ কেউ বিশাল দেশ নিয়ে খনিজ সম্পদ নিয়ে বাদশাহ বনে বসে আছে আর অনেক দেশের আয়তন কম লোক সংখ্যা বেশী, খাইতে পারছে না জায়গা নাই ঘর বাড়ি করার সুযোগ নেই,তাহা কি করে হয়,ধনী রাষ্ট্র গুলি গরিব রাষ্ট্র গুলিকে খেয়াল করে না,তা হতে পারে না,আমি বিশ্বের সমস্ত জনগণের পতি আবেদন করিতেছি এই বেপারে সংগ্রাম গড়ে তুলুন,সবাই মানব জাতি হিসেবে মানব অধিকার আদায় করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন