বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন ২০২১ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন ২০২১ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে। গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিঃসচিব (প্রাণিসম্পদ-২) সভাপতিত্বে এ মন্ত্রণালয়ের সন্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে রংপুর ও ঢাকা চিড়িয়াখানা দুইটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর দারা পরিচালিত হয়। কিন্তু উক্ত চিড়িয়াখানাসহ অন্যান্য চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোন আইন ,বিধি বিধান নাই। বিশ্ব চিড়িয়াখানা ও অ্যাকোয়ারিয়াম সমিতির সদস্য পদ অর্জনের জন্য এবং চিড়িয়াখানার ব্যবহারের জন্য বিপন্ন বন্য প্রাণী আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্রে চিড়িয়াখানা আইনের প্রয়োজন। বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা স্থাপন এবং চিড়িয়াখানায় আবদ্ধ প্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থানা আইনে পরিচালিত হবে এমন বিধান যুক্তকরা হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে স্থাপিত। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এটি। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এটির নাম পরিবর্তন করে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নামকরণ করা হয়। এই চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর। চিড়িয়াখানার চত্বরে ১৩ হেক্টরের দুটি লেক আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন