আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। বুধবার এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন দরে চলে এসেছে মূল্যবান ধাতুটির দাম। শক্তিশালী ডলার আর ফেডারেল রিজার্ভের-ফেড সুদহার বাড়ানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া স্বর্ণের দরপতনে ভূমিকা রেখেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জের (নিমেক্স) কোমেক্স ডিভিশনে ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩২৩ দশমিক ৭০ ডলারে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে কম দরে বিক্রি হয়েছিল পণ্যটি। যুক্তরাষ্ট্রে ডলারের মান বেড়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রার চেয়ে ডলারের বর্তমান অবস্থান বেশ শক্তিশালী। বাজারে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিক্রয় প্রবণতা বেড়ে যায়। এ কারণে অন্য মুদ্রা ব্যবহারকারীদের কাছে সহজলভ্য হয়ে ওঠে ধাতুটি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ কারণেই পণ্যটির দরে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। স্বর্ণের দরপতনের পেছনে ফেডের সুদহার নীতিমালাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আগামী ডিসেম্বরে ফেডের সভায় সুদহার বাড়ানো হতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আপাতত সে বৈঠকের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চাইছেন। এর আগে গত সোমবার স্বর্ণের দর বাড়তির দিকে ছিল। সেদিন ২ দশমিক ৪ ডলার বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৩৪৪ দশমিক ১০ ডলারে। সেদিন বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের আগে ফেডের সুদহার বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে ডিসেম্বরের আগে স্বর্ণের দাম তেমন বাড়বে না। এ সময় পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ ডলারের মধ্যে লেনদেন হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল স্বর্ণের দরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন তারা। বিশ্লেষকদের ধারণা, ‘নির্বাচনে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করেন তবে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চে চলে আসবে’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন