স্টাফ রিপোর্টার : দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কামিটির আকার বাড়িয়ে ৮১ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২১টি জেলার কাউন্সিলরদের নামের তালিকা হাতে পেয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি জেলাগুলো কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের তালিকা দিতে হবে। এই সম্মেলনে ৭০টি সাংগঠনিক জেলা কাউন্সিলরদের তালিকা দেবেন।
গতকাল শনিবার ধানমন্ডির প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন সামনে রেখে সম্মেলন প্রস্তুতি দপ্তর উপ-কমিটির এক বৈঠকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েকটি সম্মেলনে ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি করা হলেও এবার নতুন বিভাগ ও দেশের লোকসংখ্যার দিক বিবেচনা করে আটজন বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। যেখানে কমিটির পরিধি আগের চেয়ে ৭/৮ জন বাড়বে। কমিটির কার্যনির্বাহীতে ৮১ কিংবা ৮৩ হবে। তবে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক একশত-এর মধ্যে রাখা হবে।
সম্মেলনে কাউন্সিলর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাদের বলেন, আমরা চূড়ান্তভাবে ঠিক করেছি ৬৫৭০ জন কাউন্সিলর সারা দেশ থেকে সম্মেলনে আসবে। এর বাইরে কতজন ডেলিগেটর জেলা পর্যায় থেকে আসবে সেটা আগামী এক সপ্তাহের মাধ্যে জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগণ আমাদের কাছে লিস্ট দেবেন।
পাশাপাশি সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে দপ্তর উপ-কমিটি আটটি বুথ করে আটজন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ময়মনসিংহে নতুন কোনো সাংগঠনিক সম্পাদক না থাকায় সেখানকার দায়িত্ব আহম্মেদ হোসেনকে পালন করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পোস্টার ব্যানারে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে কাদের বলেন, সম্মেলনে কোনো ধরনের আত্মপ্রচার চলবে না। কেউ নিজের নাম দিয়ে, ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট বা বিলবোর্ড করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত: উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে দলের ২০তম সম্মেলন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ঠিক হয়েছেÑ ‘উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন