শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরে দু’দেশের আত্মিক সম্পর্ক বাড়বে -সৈয়দ আশরাফ

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আত্মিক সম্পর্ক বাড়াতে শিগগিরিই চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ হওয়া দরকার। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি। গতকাল শনিবার চীন বিপ্লবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভাটি হয়।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, চীন ও ভারত বর্ষের সভ্যতার মতোই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর পায়ে হেঁটে চীন পৌঁছে ছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য। দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত আছে।
চীন ও বাংলাদেশের মানস-চরিত্র সম্পর্কে আশরাফ বলেন, কৃষ্টি, কালচার, আধুনিকতা ও ধর্মীয় চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে ভাবেন, চর্চা করেন; চীনেও তাই। তাদের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেল বন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক তারচেয়ে বেশি আত্মিক।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চীনা প্রেসিডেন্টের আগমণ উপলক্ষ্যে সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট আমাদের দেশের মাটিতে শিগগিরিই পা রাখবেন। এটি ঐতিহাসিক সফর হবে। তাকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত। এটা দুই দেশের জন্যই আলোচিত ঘটনা। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি বৃদ্ধি পাবে।
বক্তব্যে নিজের চীন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন সৈয়দ আশরাফ। চীনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক আগে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ছিল। আবার তা চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতও সুবিধা পাবে। অতীতের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, কুনমিং থেকে কলকাতা পর্যন্ত অতীতে মোটর শোভাযাত্রাও হয়েছে। সেই যোগাযোগ আবার ফিরিয়ে আনা দরকার।
আলোচনা সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে লক্ষ্য করে মন্ত্রী বলেন, একসময় একমাত্র দিলীপ বড়ুয়া চীনপন্থী ছিলেন। কিন্তু এখন আমরা অনেকেই চীনপন্থী।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চায়না দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকবো। আমরা চাই দুই দেশের সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nannu chowhan ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১:১৫ পিএম says : 0
Mr. ashraf your .......... might be get angry, very careful!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন