স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই লিফলেটে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকা সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনাকে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের অংশ হিসেবে মিডিয়া ট্রায়াল উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আমি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে দুই বছর আগে নিউইয়র্ক এসেছি। ইতিমধ্যে আমার একটি কিডনি ফেলে দিতে হয়েছে। ঊরুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে প্রতি তিন সপ্তাহে ক্যান্সারের থেরাপি দিতে হয়।
তিনি বলেন, চিকিৎসার যাবতীয় তথ্য আমার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করি। কিন্তু নিম্ন আদালত আমাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করেছেন।
লিফলেটে সাদেক হোসেন খোকা তার গুলশানের বাড়ির বিষয়ে বলেন, এরশাদ সরকারের আমলে ডেমরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত রাস্তা করার সময়ে ভূমি অধিগ্রহণের মধ্যে আমার জমিও পড়ে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে রাজউক আমাকে ৫ কাঠার ওই জমিটি প্রদান করে। এই জমির ওপর আমি ব্যাংক লোন নিয়ে ভবন নির্মাণ করি। এই ভবনটি আমি নিজে তত্ত্বাবধায়ন করে নির্মাণ করেছি বলে ব্যয় অনেক কম হয়েছে। কিন্তু পিডব্লিউডি’র তত্ত্বাবধায়নে তৈরি স্টেটমেন্ট-এ ব্যয়ভার বেড়ে যায়। কারণ তারা নানাবিধ বিষয়ে সংযুক্তি করে স্টেটমেন্ট তৈরি করেন।
গাজীপুরের জমির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটি হাস্যকর বিষয়। কারণ বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর কোম্পানির পরিচালক ৭ জন। এর মধ্যে আমার শেয়ার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। পরে কয়েকজন শেয়ার বিক্রি করলে আমার শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ শতাংশের কিছু কম। কিন্তু পুরো সম্পত্তির মালিক আমাকে বিবেচনা করে আদালত ওই ধরনের রায় দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই সম্পত্তির অন্যান্য পরিচালকরাও হতবাক হয়েছেন।
লিফলেটে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে সকল মামলার আইনি লড়াই চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। সবশেষে তিনি তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন