শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত জিয়া: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৫:০৪ পিএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে অস্বিকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্ঠা চালান। জিয়াউর রহমান ছিলেন কার্যতপক্ষে একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে তিনি ওঁৎপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনির দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে অস্বিকার করে।

বিএনপি নেতাদের খুনি এবং বিশ্বাসঘাতকের রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উম্মোচন করা হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয় ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা যেমন নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসাথে যারা বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্ঠা চালায় তাদেরও রাজনীতি এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতকের পক্ষে যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল আলম লাভলু, ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন, প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, উত্তরজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। যিনি ঘুমন্ত জাতিকে সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করে বাঙালিদের জন্য প্রথমবারের মত ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে অস্বিকার করা হয়, এটি পৃথিবীর কোন দেশে নাই।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারতে মহাত্মা গান্ধি, পাকিস্তানে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জজ ওয়াশিংটনের ভুমিকাকে খাটো করে কেউ কি রাজনীতি করতে পারবে, পারবেনা। কিন্তু আমাদের দেশে পারে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি পশ্চাৎপদ দেশ ছিল। আশির দশকের শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ছাত্ররা বাংলাদেশে পড়তে আসতো। তখন সিঙ্গাপুর জেলে পল্লী থেকে আস্তে আস্তে উন্নতি হবার চেষ্ঠা করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা নাহতো তাহলে স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দূর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির চাকাকে ঘুর্ণায়মাণ চাকায় রূপান্তরিত করে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এবং অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগে আমরা বলতাম ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ রচনা করতে। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে ক্ষুধাকে আমরা জয় করেছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত দেড়টি বছর করোনাকালে বহু মাস-সপ্তাহ লকডাউন ছিল। করোনার শুরুতে কিছু কিছু বুদ্ধিজীবি ও টকশোবিদ যারা রাত বারটার পর টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন তাদের অনেকে শঙ্কা-আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, দেশে হাজার হাজার মানুষ নাখেয়ে মরবে, রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। তাদের সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকে দেড়টি বছর একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি এই খেটে খাওয়া মানুষের দেশে।
তিনি বলেন, দেশে এখন কোন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না, ছেড়া কাপড় পড়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়না। আকাশ থেকে খুঁড়ে ঘর সহজে দেখা যায়না। এটিই হচ্ছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটি কোন যাদুর কারণে হয়নি। শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে, এটি অনেকের সহ্য হয়না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে কত কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালাল, পরে আবার নিজেরাই টিকা নিল। বিএনপির নেতারা টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে গাধা জল গোলা করে খাওয়ার মতো কাজটাই করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন দেশের আশি শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। বিএনপি মনে করেছিল টিকা আমরা সংগ্রহ করতে পারবোনা। গণটিকা কার্যক্রম যখন শুরু হয়েছে তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৭:১৬ পিএম says : 0
.. তুই মিথ্যা কথা বলসিস,জিয়া হত্যা করে নাই,জাসদ হাসানুল হক ইনু সহ তোফায়েল আহমদ ও আমু এবং তুই সহ জড়িত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন