ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় অব্যাহত গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তুরস্ক সিরীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সিকিউরিটি জোনের নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে এক হাজার সৈন্যের বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে। এই বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গি বিমানও থাকবে। এরা সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের সঙ্গে একত্রে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার কাজ করবে।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা ও মস্কোর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যে আঙ্কারা ‘অপারেশন ইউফ্রেটিস শেইল্ড’ নামের এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। তুর্কি বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। কুর্দিদের নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র এখানে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এদিকে, আলেপ্পোতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ হয়ে লড়াইরত রাশিয়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এই অভিযান অনুমোদন করেছে।
ওয়াশিংটন সিরীয় আরব ও কুর্দি জোট পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস-ওয়াইপিজি এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স-এসডিএফের বিরুদ্ধে হামলার ব্যাপারে আঙ্কারাকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। তুরস্ক এই হুমকি উপেক্ষা করে সীমান্তবর্তী তানজিব শহরে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি-এফএসএ’র সাথে এসডিএফ’কে উৎখাত করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানকে আইএসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। আইএসের রাজধানী রাক্কায় ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হবে। এর আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ওয়াশিংটন যদি ওয়াইজিপি ও ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির সঙ্গে একত্রে রাক্কা অভিযান পরিচালনা করতে বলে, তাহলে আমরা তাতে অংশ নেব না। তবে, এদের বাদ দিয়ে যদি অভিযান চালাতে বলা হয়, তাহলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকব।
কুর্দিদের সমর্থন দেয়ায় তিনি অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, যদি ভেবে থাকেন, ওয়াইপিজি ও পিওয়াইডিকে সাথে নিয়ে আইএস নির্মূল করা যাবে তাহলে তা ভুল। তিনদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র কোবানিতে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর জন্য দুটি বিমানে করে অস্ত্র ফেলেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আইএস’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে ওয়াইপিজি ও এসডিএফ’কে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করে। সম্প্রতি আঙ্কারা বৈঠকে তুরস্ককে এ বার্তাটিও দেয়া হয়েছিল। এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনও এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে বলেছেন, রাক্কা থেকে আইএসকে যদি উৎখাতই করতে হয়, তাহলে যুুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আরব ও কুর্দি মিত্রদের সঙ্গে রাখতে হবে। আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দিদের কোনো সাফল্য আছে কি-না, জানতে চাইলে মার্কিন বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তা যদিও নেই, তবুও এসডিএফ বর্তমানে যেমন শক্তি সঞ্চয় করেছে, তাতে তাদের সঙ্গে নিলে রাক্কায় আমরা সফল হব। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন