কুষ্টিয়ায় শিশু (১৩) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া আরও তিন আসামির মৃত্যুদন্ড হ্রাস করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেন আদালত। আপিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহা ও রাগীব রউফ চৌধুরী। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলার রেকর্ড থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়ি টেলিভিশন দেখে ঘরে ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে গণধর্ষণ শেষে সাবিনাকে তারা হত্যা করে। পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। আসামিরা হলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নূরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের পুত্র মামুন হোসেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে আসামিরা আপিল করেন।
এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। পরে সে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে উপরোক্ত রায় দেন সুপ্রিমকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন