শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থনীতি ভালো বলেই চাঙ্গা পুঁজিবাজার : অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৪ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও তখন চাঙ্গা থাকবে। এখন পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে, তা অর্থনীতি ভালো থাকার ইঙ্গিত বহন করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

শেয়ারবাজার বেশ ভালো উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেসব কোম্পানি প্রোডাকশনে নেই তাদের মূল্য অনেক উপরে উঠে যাচ্ছে- বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বিষয়টি দেখবেন। আমাদের পুঁজিবাজারের যে বেসিক বিষয় সেটি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকবে। আপনি যে কথাগুলো বলছেন, যে অসঙ্গতিগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সেগুলো আমি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরবো। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এক্সপেকটেশন সব সময় আপনাদের মতোই বেশি। আমি আশা করবো- তিনি আমাদের এক্সপেকটেশন পূরণ করবেন। তার হাত ধরেই আমরা প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব, আমরা সেই প্রত্যাশাই করি।

দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরের লোকবল নিয়োগ আটকে আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখব। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথা বলবো। নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একটি ভূমিকা থাকে। সুতরাং, ডিরেক্টলি বা ইনডিরেক্টলি আমাদের ভূমিকা রয়েছে। পজিটিভলি আমরা বিবেচনায় এটাকে রাখব ও সেভাবেই ব্যবস্থা নেব। এনবিয়ারের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো, তাদের যদি কোনো দাবি থাকে অবশ্যই আমরা সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করবো।

ব্যাংক খাত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংকগুলো আগে কী অবস্থা ছিল? এ বছর তাদের ব্যালেন্স শিট দেখলে খুব হেলদি ব্যালেন্সশিট দেখতে পাবেন। মোস্ট লার্জলি, বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো। প্রফিট না থাকলে তো ডিভিডেন্ট দিতে পারবে না। আগে আপনারা সবসময় বলতেন যে ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ট দেয় না। নানাভাবে তারা ডিভিডেন্ট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যাংক সেক্টর একটি ভালো অবস্থানে আসছে। আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলতো। গত দু-তিন বছর থেকে কাজটি আর নেই, পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি আপনাদের অর্থ অর্জন করতে হবে। আয় করতে হবে, আয় করে ব্যয় করতে হবে। সেটিও তারা করে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক সবাই একটু ভালো অবস্থানে আছে।

‘আগে আশংকা ছিল যদি ইন্টারেস্ট রেট কমানো হয় ৬ শতাংশ বা ৯ শতাংশ সেটা আমরা দিয়েছিলাম আমাদের বিবেচনায় নয় সারা বিশ্বের বিবেচনায়। কারণ আমরাও তো কোনো না কোনো ভাবে কোনো দেশের সাথে সম্পৃক্ত। এখন সেসব দেশে যারা ব্যবসা করে সেখানে ইন্টারেস্ট রেট অনেক কম, বিদেশে ইন্টারেস্ট রেট অনেক কম। সুতরাং কম ইন্টারেস্ট নিয়ে আমাদের প্রতিদ্ব›দ্বীরা যদি ব্যবসা করতে পারে, তাদের কস্ট অব প্রোডাকশন কম হবে। অপরেশনাল কস্ট দেখা যাবে আমাদের চেয়ে কম। তারা প্রতিযোগিতায় টিকবে আমাদের চেয়ে বেশি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সার্বিক বিষয়ে বিবেচনায় রেখে আমাদের ইন্টারেস্ট রেটটা সারা বিশ্বের সবার চাইতে বেশি। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এটি বলেছেন। আমি মনে করি এটা বাস্তবধর্মী হওয়া উচিত সেটি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর যে অ্যাপ্রিহেনশন ছিল ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে, আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে না, তাদের আয় কমে যাবে, ব্যয় বেড়ে যাবে ইত্যাদি। এগুলো বাস্তবে পাবেন না। ২০-২২ শতাংশ ইন্টারেস্ট দিয়ে কী হবে যদি আপনি না পান। এখানে রাইটাপের পরিমাণ কম। আমি মনে করি আগে একটা বিষয় ছিল যারা ব্যবসা করতেন তারা শিল্প-কারখানা করতে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করতেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মতো ইনফ্লেশন রেট খুব কম দেশে পাওয়া যাবে। বিশ্বের কোথাও কোনো ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট পাওয়া যায় না বরং টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দিতে হয়। এজন্য এটা আমাদের দেশের লোকজন যারা বিদেশে আছেন তারা অফিসিয়াল ব্যবসা করলে বিদেশে টাকা রেখে কিছু পান না। তাদের টাকাও এখন দেশে নিয়ে আসেন। দেশে টাকা এনে বিনিয়োগ করে তারা লাভবান হতে পারেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন