সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে সমন্বয়হীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন ও প্রকল্পের ব্যয় কমাতে ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকল্প গ্রহণের আগে জমি অধিগ্রহণ, প্রকল্পের আকার নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটি সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, বজলুল হক হারুন, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়েশা খান, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও খাদিজাতুল আনোয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রণালয় কোনো পর্যালোচনা না করেই বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পের খরচ, সময় নির্ধারণ এবং জমি অধিগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। নামকয়াস্তে একটি প্রকল্প নিয়ে তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই, যেকোন প্রকল্প গ্রহণের আগে সার্বিক পর্যালোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দুটি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের বাস্তবায়ন কাজে খুবই ধীরগতি। মনে হচ্ছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় নেই। তাছাড়া বেশ কিছু প্রকল্পে দেখা গেছে আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি হুবহু একই। এটা হওয়ার কথা নয়। আমাদের মনে হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের ঘাটতি রয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, কাজের সুবিধার্থে ও আর্থিক খরচ কমাতে বড় প্রকল্পগুলো মন্ত্রণালয়কে একাধিক ভাগে ভাগ করে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জমি অধিগ্রহণে সুবিধাজনক জায়গা নির্ধারণের লক্ষ্যে যে কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে জায়গা একেবারে নির্দিষ্ট (যেমন সদর) ছাড়া প্রকল্প গ্রহণ না করার সুপারিশ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে এবং সময় বৃদ্ধি রোধে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অধীন চলমান প্রকল্পগুলোর আর্থিক বিবৃতিসহ প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটির কাছে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নিহত সকল শহীদদের সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন