বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিশ্ব-অর্থনীতি বিপর্যস্ত। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে দফায় দফায় লকডাউন দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশী বিনিয়োগে ভাটা, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় কমছে। একই সঙ্গে মানুষের আয়, কর্মসংস্থান ও মজুরি কমছে; অন্যদিকে খাদ্যমূল্য বাড়ছে। তবে অন্যান্য দেশ আর্থিক মন্দা কাটাতে পরিকল্পিত কর্মসূচি নিলেও, সঙ্কট উত্তরণে বাংলাদেশের টেকসই কর্মসূচি নেই। আর তাই মহামারির প্রভাব, অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় নাজুক অবস্থায় আর্থিকখাতের বিভিন্ন সূচক। যা দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতির জন্য অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছেন আর্থিকখাত সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মহামারির আগেও বেসরকারি বিনিয়োগের হার মাত্র ২২ শতাংশে স্থির ছিল। করোনা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতার সমাধানের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকার চাইলে মহামারির মধ্যেও বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কর্মসূচী পরিচালনা করতে পারতেন। তবে মহামারির প্রভাব কমে এলে আমরা প্রাক-মহামারি পর্যায়ে ফিরে যেতে পারি। যদিও আমরা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারবো না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতিকে মহামারির প্রভাব থেকে বের করে আনার জন্য সরকারের একমাত্র পথ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচীর গতি বাড়ানো। ভ্যাকসিনের বিষয়টি অবজ্ঞা করে প্রবৃদ্ধির কথা বলে লাভ নেই।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ব্যাপকভাবে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে অর্থনীতির চাকায় গতি এনেছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে পেরেছে। কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম চললেও পর্যাপ্ত মানুষকে এখনো টিকার আওতায় আনা যায়নি। ফলে সবকিছু খুলে দিলেও এখনো স্বাভাবিকতা আসেনি। মানুষ নতুন বিনিয়োগেও আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে দেশের আর্থিকখাতের অন্যতম চালিকা শক্তি ব্যাংকিংখাতও বিপর্যস্ত। বড় ব্যাংকগুলোতে বিপুল মূলধন ঘাটতি, অন্য দিকে বিনিয়োগ করতে না পারায় বহু ব্যাংকের অলস তহবিল বেড়েই চলেছে। অবস্থা এমন যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভর্তুকি দেয়া প্রণোদনার অর্থ বিনিয়োগেও অনেক ব্যাংক সাড়া দিচ্ছে না। এক বছর স্থগিতের পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। দেশে বিতরণ করা মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই, যা মোট ঋণের আট দশমিক ১৭ শতাংশ। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৭০১ কোটি টাকা বেড়েছে। এতে বিনিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে একধরনের স্থবিরতায় খাবি খাচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক খাত। অর্থনীতির একটি সাধারণ তত্ত্বা নতুন বিনিয়োগ হলে ব্যবসাবাণিজ্যে গতি আসে। সৃষ্টি হয় নতুন কর্মসংস্থান। এর সুফল ভোগ করে সবাই। কিন্তু উদ্যোক্তা না পাওয়ায় বিনিয়োগ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। আর তাই দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। নতুন কর্মসংস্থান সৃস্টি না হওয়ায় বাড়ছে বেকারত্ব।
জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে মাত্র ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ছোট ও মাঝারি শিল্প খাত ভালো নেই। আয় ও মজুরি কমায় মানুষের ভোগ কমেছে। এর ফলে পিছিয়ে পড়া মানুষের সঙ্গে আরও মানুষ যুক্ত হওয়ার চাপ বাড়ছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্যাচার্য বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের অর্থনীতির সব থেকে শক্তিশালী জায়গা ছিল বৈদেশিক খাত। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাসের উৎস বলছে এই বৈদেশিক খাতে এক ধরনের ভাঙন ধরেছে। জুলাই মাসে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ রফতানি পতন ঘটেছে। আর রেমিট্যান্স আয়ে ২৮ শতাংশ পতন হয়েছে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স খাতের যে জাদু সেটা সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। কারণ মানুষ গেছে কম, এসেছে আগের চেয়ে বেশি। রফতানিতে আমরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারব কি-না, সেটা নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সা¤প্রতিককালে অর্থনীতির উচ্ছ্বাসের নিচে যে কালোছায়া আছে, সেটা হলে আমাদের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ কোনোভাবেই আমরা বাড়াতে পারছি না।
সূত্র মতে, করোনা মহামারীর তান্ডবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চ‚ড়ান্ত হিসাবে, গত তিন দশকের মধ্যে এটাই জিডিপির সর্বনিম্ন গতি। সরকারের প্রাক্কলিত হিসাবের তুলনায় প্রবৃদ্ধির এই হার প্রায় দুই শতাংশ পয়েন্ট কম। গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্সের অব্যাহত প্রবাহ ও রফতানি প্রক্রিয়া প্রত্যাবর্তনের ভেতর দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় অভিঘাত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। যে কারণে মার্চ-এপ্রিলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিবিএস সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে সম্ভাব্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরেছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিবিএসের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিষয়ক প্রাক্কলন বাস্তবতার কাছাকাছি ছিল। তবে, এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাÐ আবার ধাক্কা খাওয়ার কারণে বিবিএসের চ‚ড়ান্ত পর্যালোচনায় সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের ক্ষেত্রে এটা কমে আসতে পারে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিবিএসের এই হিসাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাসের কাছাকাছি। আইএমএফ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল ২ শতাংশ। আর সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অনুমিত হিসাব ছিল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ শাখার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই তথ্য বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন। তিনি বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এমনটা হয়নি। এটার জন্য বিবিএস সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এমন তথ্যের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির নতুন তথ্য একটা ভারসাম্যের কথা বলছে। শিল্প ও সেবাখাত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে মহামারির চ‚ড়ান্ত অভিঘাত দেখা গেছে। বিপরীতে কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি মহামারির আগের তুলনায় বেড়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির জন্য ড. জাহিদ হোসেন গ্রামীণ অর্থনীতির এই স্থিতিশীল অবস্থাকে কৃতিত্ব দেন। ২০২০ সালে বিশ্বের মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের অর্থনীতি জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। শিল্প ও সেবাখাতে প্রবৃদ্ধির ডুবন্ত অবস্থা তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, তা স্বত্বেও এই মহামারি আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরে যা ৬ দশমিক ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে, জিডিপির ৫১ শতাংশের জোগান দেয়া সেবাখাতের প্রবৃদ্ধি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমেছে। এর আগের অর্থবছরের তুলনায় যা অর্ধেক। বিবিএসের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সেবাখাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বিগত দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির অনুমানের ক্ষেত্রে বিবিএস তার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রেখেছে। সিপিডি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে অর্থনীতির প্রায় সবগুলো খাতের ওপর আঘাতের প্রতিফলন।
করোনা মহামারি পরিস্থিতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে গত অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের হার ছিল গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। যে কারণে গত কয়েক বছরে বেকারত্ব ও দারিদ্র বিমোচন খাতে যে উন্নতি হয়েছে তা বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে স্থিমিত হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অন্তর্বর্তীকালীন তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের বিপরীতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাত ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ। যা ২০০৭-০৮ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের পূর্বাভাষের (২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ) চেয়েও এই অনুপাত কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুপাতটি বেড়ে ২৩ দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছিল। গত বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর অনুপাতটি কমে ২২ দশমিক ছয় শতাংশ হয়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান জানান, বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগের হার কমে যাওয়ার পেছনে নিশ্চিতভাবেই কাজ করেছে করোনার কারণে সৃষ্ট নজিরবিহীন মন্দা। তিনি বলেন, বিনিয়োগের হার কমে যাওয়ার পরিমাণটি বিবিএসের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যের চেয়েও বেশি হতে পারে।
সূত্র মতে, অর্থনীতিতে তারল্য বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেড়ে জুনে ব্যাংকিং খাতে বাড়তি তারল্যের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৩১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। গত বছরের জুন থেকে প্রতি তিন মাস পরপর সানেম ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষার ফলাফলের বরাত দিয়ে প্রফেসর সেলিম রায়হান জানান, মহামারি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে। তাদের বেশিরভাগই এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। এ কারণে তারা নতুন কোনো বিনিয়োগের দিকে যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। অল্প কিছু তৈরি পোশাক নির্মাণকারী কারখানা তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও মাস্ক উৎপাদন শুরু করেছে। তবে আমরা কোনো বড় বিনিয়োগ বা নতুন বাণিজ্যিক অবকাঠামো তৈরির উদাহরণ পাইনি বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে মহামারি খুব খারাপ ভাবে প্রভাবিত করেছে। সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
অবশ্য পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, সরকার অর্থায়ন, অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য নীতিমালার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরণের উদ্যোগ নেবে। যাতে করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া গতিশীল হয়। তিনি বলেন, আশা করি আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে এবং এটা মহামারি পূর্ব পর্যায়ে নিয়ে যাবে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন