প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর দেশে জাতীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হবে। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে উদযাপনের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন, ২০২১-এর খসড়ার নীতিগত এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সংসদে পাস হলেই বিচারপতিদের ভ্রমণ ভাতা বাড়বে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের প্রস্তাব এবং যৌক্তিকতা মন্ত্রিসভায় পেশ করলে অনুমোদন দেয়া হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে উদযাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করে ঘাতকেরা।
দ্রæততম সময়ে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রæত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আগে সচিব সভায় নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কিভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব...তারা আপনাদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বসবে। জনসম্মুখে বলে দেবে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফা চেষ্টা করেও পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়নি, বরং দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের গড় করে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতেই তাদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও আগের রোলে পরের ক্লাসে তুলে দেয়া হয়। দেড় বছর ধরে ঘরে বসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা হলেও তাতে শিক্ষা কতটা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১-এর খসড়া নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৩ সালে কোর্টের রায় ছিল, সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করা। এটাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে জন্য এটা মন্ত্রিসভার বৈঠকে একেবারে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এরপর সংসদে যাবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন, খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০২১ এর খসড়া এটাও অধ্যাদেশ ছিল। এটাতেও নতুন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, আগে যেটা ছিল সে অনুযায়ী। এটাকেও পুরো অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এখানে ছোটখাটো সংশোধন আনা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে দৈনিক ভাতা ৫০০ বা সাড়ে ৫০০ টাকা ছিল, সেখানে ১৪শ’ টাকা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‹বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২১-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে বার কাউন্সিলের অধ্যাদেশ করা হয়েছিল, কারণ যদি কোনো কারণে টাইম ওভার হয়ে যায় তখন কী করবে, সেটার কোনো বিধিবিধান ছিল না। সে জন্য বার কাউন্সিল অধ্যাদেশ হিসেবে এটি নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ করলে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে এক মাসের মধ্যে সেটাকে আইনে পরিণত করতে হয়, নইলে সেটা বাদ হয়ে যায়। সে জন্য তারা এটা নিয়ে এসেছে। সেটা মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুন: অনুমোদন করেছে। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এটাকে অনুমোদন করে ফেলতে হবে, নইলে বাতিল হয়ে যাবে। সেজন্য এটার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন