শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে পদ ছাড়তে হবে জেলা পরিষদ প্রশাসকদের

প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে বর্তমান প্রশাসকদের পদত্যাগের বিধান যোগ করে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
ফৌজদারি মামলায় আদালতে গৃহীত অভিযোগপত্রে নাম এলে জেলা পরিষদের পচয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা এবং পচয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার মনোনীত পকানো ব্যক্তিকে ওই দায়িত্ব পদওয়ার সুযোগ পরখে গত ২৯ অগাস্ট জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পদয় মন্ত্রিসভা। সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় জরুরি বিবেচনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয় সংশোধিত ওই আইন। জেলা পরিষদের বর্তমান মনোনীত প্রশাসকরা কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ওই অধ্যাদেশে ছিল না।
জেলা পরিষদ আইনের ৬ (চ) ধারায় বলা আছে,‘কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই উপধারায় জেলা প্রশাসক শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনটি সংশোধন হলে জেলা পরিষদের নিয়োগকৃত প্রশাসকরা পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে পদশের ৬১টি জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মেয়াদপূর্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পচয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইন সংশোধন করে গত আগস্টে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছিল সরকার। ওই অধ্যাদেশ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আইন হিসেবে পাসের জন্য সংসদে পতালার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান।
আ.লীগের সম্মেলন নিয়ে কোনো চাঁদাবাজি নয় আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে কারো কাছে কোনো চাঁদা চাইতে হবে না। এ জন্য দলের তহবিল থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য কারও কাছে টাকা চাইতে (চাঁদা) হবে না, নিজেদের (দলীয়) তহবিল আছে। সেই তহবিল থেকেই সম্মেলনের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ দিক-নির্দেশনা পদন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ওই মন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী উঠে যাওয়ার সময় সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আফম মোজাম্মেল হক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মঞ্জু ভাই দলের সম্মেলনের ব্যয় অনেক। আমাদের সম্মেলনটা একটু তুলে দেন না।’ এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে যান এবং মোজাম্মেল হকসহ উপস্থিত মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলের সম্মেলনে কারো চাঁদা লাগবে না। উল্লেখ্য, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা-জয়কে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পুরস্কার প্রাপ্তিতে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই তাদের অভিনন্দন জানিয়ে দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন এবং এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রিসভা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬-তে ভূষিত হওয়ায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইউএন প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারটি দেয়া হয় ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে। আর ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দেয় গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম। নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য’ ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর তা বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ডিজিটাল বিশ্বের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ চারটি খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে জয়কে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে।
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় শোক
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং গাজীপুরে টাম্পাকো কারখানার আগুনে পুড়ে ৩৯ জনের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই শোক প্রস্তাব নেয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮১ বছর বয়সে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ শামসুল হক। এর আগে টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীতে টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ৩৯ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকের শুরুতেই সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যু এবং গাজীপুরে কারখানায় নিহতের ঘটনায় মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন