ইনকিলাব ডেস্ক : দুই সপ্তাহের চলমান উত্তেজনার পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে ফোনালাপ হয়েছে। আলোচনার পর সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে দু’পক্ষই। গতকাল (সোমবার) সকালে দু’দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে আলাপ হয়। ফোনে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন ভারত-পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও নাসির জানজুয়া। আর তাদের আলোচনার পরপরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ জানান, সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষই।
সারতাজ আজিজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পরই দু’সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধাবস্থার বিষয়ে দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কথা বলেন। এর আগে গত রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সঙ্কট নিরসনের আভাস দিয়েছিলেন। এক অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, ‘ভারত কখনোই কারো ভূখ-ে আক্রমণ করেনি। সারতাজ আজিজ অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান যখন উত্তেজনা কমাতে কাজ করছে, তখন ভারত যেন অন্য কিছু চাইছে। তবে সীমান্তের এই উত্তেজনা কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না বলে উল্লেখ করেন আজিজ। তিনি সর্বশেষ জাতিসংঘের সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন। যেখানে নওয়াজ বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা থেকেই যাবে। আজিজ জানান, এ কথার মধ্য দিয়ে নওয়াজ বুঝিয়েছিলেন, সীমান্ত নিয়েই ভারত-পাকিস্তানের যত দ্বন্দ্ব। আর তাই সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হলে এ উত্তেজনা শেষ হবে না।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ সেনা নিহতের পর পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনারা। এরপর সীমান্তে পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় সেনা বন্দীর খবর আর সর্বশেষ রোববার রাতে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে আবার কথিত জঙ্গি হানা সব মিলিয়ে দু’দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনে প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো প্রতিবেশী দেশ দু’টিকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিল।
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় আবারো গোলাগুলি
কাশ্মীর সীমান্তের তিনটি পৃথক স্থানে নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই পাশে আবারও গোলাগুলি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে। গতকাল পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, নেজাপুর ও কাইলের সেক্টরে এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের ইফতেখারাবাদ শহরে গোলাগুলি ঘটে। এর মধ্যে প্রথম এই সংঘাত শুরু হয় মধ্যরাতে, ইফতেখারাবাদে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নেজাপুরে ও বিকেলে কাইলারে গুলি বিনিময় করে ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আইএসপিআর জানায়, ‘ভারতের উস্কানিবিহীন গুলি নিক্ষেপের জবাব দিয়েছে পাকিস্তান।’
এই গোলাগুলিতে কোনো পক্ষে কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে গতকালই ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বারামুল্লায় ভারতীয় সেনা ছাউনিতে এক সন্ত্রাসী হামলায় এক ভারতীয় সেনার নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গুরুদাসপুর সীমান্তে সন্দেহজনক গতিবিধি শনাক্তের দাবি ভারতের
জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লায় সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর দুটি ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর গুরুদাসপুর সীমান্তে আট সন্দেহভাজন জঙ্গির গতিবিধি শনাক্ত করার দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ-এর মুখপাত্র দাবি করেছেন, সীমান্তে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করার পর তার বাহিনীর সদস্যরা চারটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। গুরুদাসপুর সেক্টরের চকরি বর্ডার আউট পোস্টে (বিওপি) বিএসএফ-এর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিএসএফ-এর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে খবরটি নিশ্চিত করেছে।
প্রাথমিক খবরে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে পাল্টা গুলি ছোড়ার কথা জানানো হলেও পালিওয়াল তা নাকচ করে দিয়েছেন। এদিকে গুরুদাসপুরের দোরাংলা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি নাকচ করল জাতিসংঘ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ভারতের কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি নাকচ করে দিয়েছে কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন জাতিসংঘ সামরিক পর্যবেক্ষক দল। আর এ কারণে ওই দলের কঠোর সমালোচনা করেছে ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নামে পরিচিত কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে জাতিসংঘের একটি মিশন। জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক দল এলওসিতে ১৯৭১ সাল থেকে চালু হওয়া যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
আজাদ কাশ্মীরে কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর ভারতীয় দাবি জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এর আগে নাকচ করে দিয়েছিলেন। দৈনিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক দল’ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সরাসরি কোনো গোলাগুলি হতে দেখেনি। যুদ্ধবিরতির ওই কথিত লঙ্ঘন সম্পর্কে আমরা প্রতিবেদন থেকে জেনেছি। পর্যবেক্ষক দল এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে।’
অবশ্য বান কি মুনের মুখপাত্রের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, কেউ ‘পর্যবেক্ষণ’ করল, কি করল না তার ওপর ভিত্তি করে বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
গত বুধবার রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এলওসি পার হয়ে পাকিস্তানে ঢুকে একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ওই অভিযানকে ভারত নাম দেয় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। ওই হামলায় অনেক সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার দাবি করেছে নয়াদিল্লি। অবশ্য ভারতের এ দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলেছে, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের সংঘর্ষ নতুন নয়।
পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞায় বিপদে ভারতের বাণিজ্যিক ফ্লাইট
পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের সামরিক বাহিনী কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর লাহোরের আকাশে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করায় সমস্যায় পড়েছে ভারত। দেশটির যেসব বাণিজ্যিক ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্যের দেশ, ইউরোপ ও আমেরিকায় যাচ্ছে সেসব বিমানকে এখন ভিন্ন পথে যেতে হচ্ছে। ফলে ভারত থেকে এসব দেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
ভারতের কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তান লাহোরের আকাশে সব ধরনের বাণিজ্যিক বিমানের জন্য কমপক্ষে ২৯ হাজার ফুট ওপর দিয়ে চলাচলের নির্দেশনা জারি করে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থার ওপর। ফলে ভারতের বিমানগুলো এখন ভিন্নপথে যেতে বাধ্য হচ্ছে আর তাতে দেরি হচ্ছে গন্তব্যে পৌঁছাতে। ভারতের বিমান সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা খবরটি নিশ্চিত করেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
চলতি অক্টোবর মাসজুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে বলে পাকিস্তানের জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ পাকিস্তানের আকাশ হচ্ছে দূরপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় একটি রুট।
এর আগে, গত সোমবার পাকিস্তান অন্য এক নোটিশে বলেছে, করাচির ওপর সব ধরনের বাণিজ্যিক বিমানের ফ্লাইটকে কমপক্ষে ৩৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যেতে হবে। এর চেয়ে নিচ দিয়ে উড়তে পারবে শুধুমাত্র পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান।
কাশ্মীরে ‘সহিংসতায় উসকানি’র অভিযোগ তুলে সংবাদপত্র নিষিদ্ধ
জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় সংবাদপত্র কাশ্মীর রিডার বন্ধ করে দিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার। ‘সহিংস কার্যক্রমে উসকানি’ দেয়ার কথিত অভিযোগ তুলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পত্রিকাটির ওয়েব ভার্সনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের একটি অনুলিপিও ছাপা হয়েছে।
কাশ্মীর রিডারের সম্পাদক হিলাল মীর জানান, রোববার ক’জন পুলিশ কর্মকর্তা পত্রিকা কার্যালয়ে প্রবেশ করে জানান, শ্রীনগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দিয়েছেন, প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে বলা হয়েছে, ওই পত্রিকায় ‘এমন কিছু বিষয় প্রকাশিত হয়েছে, যা সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এবং জনগণের শান্তি বিঘিœত করতে পারে।’ নির্দেশে আরো বলা হয়, ফলে জনগণের শান্তি বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া সমীচীন মনে করছে কর্তৃপক্ষ।’
গতকাল সম্পাদক হিলাল মীর বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ- ছয়জন পুলিশ অফিসার আমাদের অফিসে এসে প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে বললেন। আমরা জানি না কেন, পরিস্থিতির পেছনে তো আমাদের কোনো হাত নেই। যা ঘটছে তা-ই তো আমরা রিপোর্ট করছি, অন্য সব পত্রিকা যেভাবে রিপোর্ট করে থাকে আমরাও সেভাবেই করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্পাদক-প্রকাশক আলোচনায় বসেছি, নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি আমরা। তবে এ নির্দেশের বিপরীতে আইনি পদক্ষেপও নিতে পারি। আমরা জানতে চাই কেন এমনটা হলো।’
‘রিট্রিট সেরিমনি’তে ভারতবিরোধী স্লোগান
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ওয়াঘা সীমান্তে ঐতিহ্যবাহী সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ বা ‘রিট্রিট সেরিমনি’তে ভারতবিরোধী স্লোগান উঠেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি দর্শকরা কাশ্মীরের সমর্থনে স্লোগান দেয়। ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’ বলে স্লোগান দেয় ওই দর্শকরা। আটারি সীমান্তে মোতায়েন কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানের দিকে দর্শক আসনে বসা লোকেরা কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। রিট্রিট অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে পাকিস্তানের দিক থেকে পাথরও ছোড়া হয়।
পাকিস্তানের রেঞ্জাররা অবশ্য বলছেন, তারা জানেই না কে পাথর ছুড়েছে। তারা ওই ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এ নিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের ডাক দেয়া হয়। অবশেষে ৫০ মিনিটের অনুষ্ঠান শেষে বিএসএফ এবং পাকিস্তানি রেঞ্জারদের মধ্যে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়। ভারত-পাক চলমান উত্তেজনার মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রিট্রিট অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয় বিএসএফ। এরপর গত রোববার সীমিত সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতিতে তা পুনরায় চালু হয়।
পাকিস্তানি পায়রা আটক করেছে বিএসএফ!
ভারত-পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান উত্তেজনা, হুঁশিয়ারি-পাল্টা হুঁশিয়ারি, সন্দেহ এবং পরস্পরবিরোধী তদন্তে এবার সংযোজন ঘটল এক পায়রার। গত রোববার পাঠানকোটের বামিয়াল সেক্টরের সিম্বাল পোস্ট থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখা চিঠিসহ একটি পায়রাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর জওয়ানদের নজরে পড়ে পায়রাটি। তারা দেখতে পান, পায়রার সঙ্গে মোদিকে উদ্দেশ করে লেখা একটি চিঠি বেঁধে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘মোদিজি, ১৯৭১ সালে আমরা যেমন ছিলাম এখনও তেমনই আছি বলে ভাববেন না। এখন কিন্তু প্রত্যেক শিশুই ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, আগের দিন শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে লেখা বার্তাসহ দুটি বেলুন উদ্ধার হয়। গুরদাসপুরের দিনানগরের ঘেসাল গ্রামে পাওয়া বেলুন দু’টির সঙ্গে পাওয়া উর্দুতে লেখা বার্তায় লেখা ছিল, মোদিজী, আয়ুব খানের তলোয়ার এখনও আমাদের কাছে। ইসলাম জিন্দাবাদ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বরও পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে একটা সাদা পায়রা পাওয়া গিয়েছিল। সেটিও পাকিস্তান থেকে এসেছিল বলে সন্দেহ করা হয়। সেবারও উর্দুতে লেখা কোনো বার্তা ছিল। তবে তাতে কী লেখা ছিল তা জানায়নি হিন্দুস্তান টাইমস। সূত্র : আল জাজিরা, ডন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পার্সটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও প্রকাশের দাবি কেজরিওয়ালের
ভারতের দাবিকৃত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে সীমান্ত সংঘর্ষ উল্লেখ করে পাকিস্তান যে প্রচারণা চালাচ্ছে তা মিথ্যা প্রমাণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পরিচালিত সেই অভিযানের ভিডিও প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল তিন মিনিটের একটি ভিডিওতে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একশোটি বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে শ্রদ্ধা করি আমি’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন