প্রভোস্ট কমিটির সুপারিশের পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ধাপে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের পরীক্ষা শেষ হলে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে।
প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বুধবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির বিশেষ সভায় এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ সীমিত পরিসরে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোতে ওঠানোর সুপারিশ করে। শিক্ষার্থীদের হলে ওঠাতে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব আবাসিক হলের সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতেও বলা হয় সভায়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছে বলে প্রভোস্ট কমিটির সভায় উল্লেখ করা হয়।
যেসব শিক্ষার্থী এখনও টিকা নেননি, তাদেরকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় না আসলে আবাসিক হল খোলা এবং সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ব্যাহত হবে।
অক্টোবরে আবাসিক হলগুলো খুললেও এসময় অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি। ডিনস কমিটির সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। অক্টোবরে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য খুললেও নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর পরিকল্পনা করছি আমরা। এই সময়ে অনলাইনে ক্লাস এবং পরীক্ষা দুটোই চলবে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চাইলে স্বাস্থবিধি মেনে সশরীরেও পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী দুপক্ষের সম্মতিতেই এটি করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন