বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি- ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। রোববার (২৯ আগস্ট) ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা: প্রেক্ষিত সেবা খাত’ শীর্ষক ভাচুর্য়াল সংলাপে তিনি এ প্রস্তাব দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৭৫১ বিলিয়ন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এসেছে সেবা খাত থেকে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যের জন্য বিনিয়োগে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। তিনি আশা করেন, বাংলাদেশের সেবা খাতসহ ব্যাংকিং, জ্বালানি, অবকাঠামো, কেমিক্যাল, পর্যটন, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা আরও বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন- বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সনিয়া বশির কবীর। এছাড়াও বাংলাদেশ সিমপ্রিন্টস টেকনোলোজি লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আসাদ-উর-রহমান নীল, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান ইমরান এবং এমএফ এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন