ভারতের উত্তরাখণ্ডে ফের ভয়াবহ ধস হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে এই ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও পাঁচজনের চাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। টুইট করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুষ্কর সিং ধামী জানিয়েছেন, পিথোরগড় এলাকার জুম্মা অঞ্চলেই এই ধস নামে। উদ্ধারকাজ নিয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালানো হচ্ছে। এদিকে, বেশকিছুদিন ধরেই পিথোরগড়া জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত চলছিল। চার-পাঁচ দিন ধরেই মেঘভাঙা বৃষ্টির অ্যালার্ট দিয়েছিল মৌসম ভবন।
পিথোরগড়ের জেলা প্রশাসক আশিস চৌহান বলেন, 'রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের যৌথ উদ্যোগে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। জুম্মা গ্রামেও উদ্ধারকাজ চলছে। এলাকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় অঞ্চলে।'
এলাকার একাধিক রাস্তা, বাড়িঘর পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনপদ, ব্রিজ। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। গাড়ওয়াল ডিভিশনের বিস্তারিত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেবপ্রয়াগ, তোতাঘাটি, তিনধারা, কাউদিয়ালা, ঋষিকেশ, রানিপোখারি, নরেন্দ্রনগর, ফাকট এবং চাম্বা অঞ্চল আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের মোট ১৬৬টি রাস্তা ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বদ্রিনাথ এবং গঙ্গোত্রী সড়ক। বন্ধ করা হয়েছে ঋষিকেশ-বদ্রিনাথ রোড। আগেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল এই এলাকায়।
এর আগেই হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে ভয়াবহ ধসের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। ধসের নিচে চাপা পড়ে আটকে যায় একটি সরকারি বাস, একটি ট্রাক। ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেকং-পেয়ো সিমলা জাতীয় সড়ক। সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন