শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে অনুমতির প্রস্তাবনা গভীর ষড়যন্ত্র

বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

কোনো অমুসলিম রাষ্ট্রেও ধর্মীয় স্থাপনা করতে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। কিন্ত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে এরকম প্রস্তাবনা দ্বীনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও মসজিদ-মাদরাসা বন্ধের পাঁয়তারার শামিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, হঠাৎ এই রকম প্রস্তাবনায় আমরা বিস্মিত। অবিলম্বে এ ধরণের প্রস্তাবনা প্রত্যাহার করতে হবে। গতকাল সোমবার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারের অনুমতি নিতে হবে এমন প্রস্তাবনা দ্বীনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও মসজিদ মাদরাসা বন্ধের পাঁয়তারার শামিল। এ ধরণের প্রস্তাবনায় জনগণ বিস্মিত। অবিলম্বে এ ধরণের প্রস্তাবনা প্রত্যাহার করতে হবে। গতকাল সোমবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ৯০% মুসলমানের দেশ। প্রত্যেক মুসলমানের উপর ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা ফরজ ও আবশ্যক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুবই কম। কিছু সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বউদ্যোগে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ করে থাকেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক, এই প্রস্তাবনা ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মাসউদ আহমদ এর রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল গতকাল বিকেলে জমিয়ত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ : একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়” শীর্ষক সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান এবং শীর্ষ উলামায়ে কেরাম। গতকাল সোমবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহবান জানানো হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সঙ্কুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সকল ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।

নেতৃবৃন্দ মনে করেন, প্রস্তাবটি কোরআন, হাদীস, দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী। সভায় গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণকে অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহবান জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব মধুপুর) মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন