ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকদের জীবনের ও স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেবে। মানুষ নিরুদ্বেগ সময় কাটাবে। আতঙ্কমুক্ত শান্তিময় জীবন যাপন করবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে কে কখন গুম হবে, সেই আতঙ্ক বিরাজ করে। নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ আইন শৃংখলা বাহিনীগুলো গুমের শিকার ব্যক্তির দায়িত্ব তো নেয় না বরং অনেক ক্ষেত্রে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করে। এই অবস্থা কোন স্বাধীন দেশে সহ্য করা যায় না।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর এসব কথা বলেন। পাশাপাশি বিগত ১৪ বছরে ৬১৪ জন অপহরণ, তার মধ্যে ৭৮ জনের মৃত্যু ও ১৭০ জন এখনো গুম থাকায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে পীর সাহেব বলেন, এই সরকার উন্নয়নের ফাঁপা তথ্য দিয়ে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো প্রায় সবই কেড়ে নিয়েছে। সেই সাথে নাগরিকের বাদ-প্রতিবাদ দমন করতে পুরোনো ভয়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতেই এভাবে গুম-খুনের মহড়া দেয়।
পীর সাহেব চরমোনই বলেন, প্রায় সকল গুমের অভিযোগের তীর সরকারের প্রতিই নির্দেশ করে। সরকারের যদি সৎসাহস থাকে তাহলে গুমের অভিযোগ তদন্তে ও প্রতিরোধে সরকারি প্রভাবমুক্ত স্বাধীন সর্বজনীন নাগরিক কমিশন গঠন করুক। পীর সাহেব চরমোনাই হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকদের খুন-গুম করা অপশক্তির কোন ক্ষমা নাই। কাল বা পরশু বা মহাকালে তাদেরকে বিচারের মুখে দাঁড়াতেই হবে ইনশাআল্লাহ।
পীর সাহেব চরমোনই গুমের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধার ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং আতঙ্কমুক্ত শান্তির বাংলাদেশ নির্মাণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আন্দোলন চালিয়েই যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিতব্য মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করার অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন