তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে প্রিন্ট মিডিয়ার সংখ্যা ৩ হাজার ১৯৫টি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংখ্যা ১০৩টি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪টি। অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫টি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেতার কেন্দ্র ১৪টি। সরকার অনুমোদিত বেসরকারি এফ এম রেডিও ২২টি এবং কমিউনিটি রেডিও ১৮টি।
গতকাল বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারি চারটি টেলিভিশন হলো- বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম। তিনি আরো জানান, দেশে ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে রয়েছে। ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি ১৩টি চ্যানেল ও দু’টি চ্যানেল ফ্রিকোয়েন্সি পেয়েছে।
এখন সাড়ে ৯৯ ভাগের বেশি জনগণ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি আরো জানান, দেশের ৪৬১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সদস্য মমতা হেনা লাভলী। লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, চলমান শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমের কারণে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ইকোনোমিক জোনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হলে শিল্প খাতেও বিদ্যুতের ব্যবহারে পর্যায়ক্রমে বাড়বে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম অফগ্রিড এলাকা ছাড়া মুজিববর্ষে গ্রিড-অফগ্রিড নির্বিশেষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৪২ ভাগ আবাসিক খাতে, ১০ দশমিক ৫৮ ভাগ বাণিজ্যিক খাত এবং ২৮ দশমিক ৪০ ভাগ শিল্প খাতে ব্যবহার হয়েছে।
সরকার দলীয় এমপি নুরন্নবী চৌধুরী প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনা করে ২০২১ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিগত ১২ বছরে ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
সরকারী দলের আরেক সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে সংরক্ষিত অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবাংলার অধীন ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা বাগানে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় গ্যাসক্ষেত্রসমূহের উৎপাদন কম হওয়ায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চলছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে আগস্ট মাসে দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৪৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, প্রাকৃতিক গ্যাস নিরাপত্তা বিধিমালা ১৯৯১ ধারা নম্বর ৩১ অনুযায়ী মাটির তলদেশে স্থাপিত এক ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস লাইনের গাত্র হইতে সংরক্ষণীয় পূর্তকর্ম অর্থাৎ ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত দূরত্ব ২ মিটার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন