বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লকডাউনে ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন উদ্যোক্তা

দেশীয় চামড়ায় তৈরি হচ্ছে নানা পণ্য—সামগ্রী

রুবাইয়া সুলতানা বাণী, ঠাকুরগাঁও থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

তথ্যপ্রযুক্তির ভালোমন্দ দুটো দিকই আছে। ভালো করার ইচ্ছে থাকলে নতুন নতুন কিছু তৈরি করা সম্ভব। আবার তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার মানুষকে খারাপ পথে নিয়ে যায়। একজন ব্যাংক কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তিকে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তা তাহমিনুল ইসলাম আসিফের পড়ালেখা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। ছাত্র অবস্থায় মিউজিকের প্রতি ছিল ভালোবাসা। অবসর সময় গিটারে সুর তুললেও মাথায় অন্য কিছু করার ভাবনা পরিবারের সাথে শেয়ার করেন। স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তিনি সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথ ধরেন।
কথা প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের জামাই তাহমিনুল ইসলাম আসিফ জানান, শখের মূল্য ছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এই টাকায় একটি গিটার কেনার পর ভাবতে শুরু করেন দাম এতো বেশী! কি আছে গিটারের মধ্যে যে কারনে এতো দাম? এমন ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগান। অনলাইনে সার্চ করে শুরু হয় গিটার তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ।

করোনার শুরুতে অফিস ভাচুর্য়ালি চলছিল তখনই তিনি সাহস করে কাজে হাত দেন। পাশে ছিলেন স্ত্রী। কাঠের তৈরি গিটার তৈরি করতে সর্বোচ্চ খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি করা ভালো মানের একটি গিটারের দাম এক লাখ টাকার বেশি। অথচ দেশেই সম্ভব ভালো মানের গিটার তৈরি করা।
গিটার তৈরি করতে গিয়ে তার মাথায় আসে চামড়া দিয়ে ভালো কিছু তৈরি করা যায় কিনা। করোনার সময় লকডাউন কাজে লাগাতে দোকান থেকে চামড়া কিনে বাসায় বসে শুরু করেন চামড়ার কাজ। ছোট দুই একটি ব্যাগ তৈরির পর নিজেই ক্রাস্ট লেদারের উপর রং করার পাশাাপশি সেলাই করেন।

তিনি জানান, লকডাউনের সময় পুরো সময়টা কাজে লাগিয়েছেন। দেশীয় চামড়ার ঘড়ির ফিতা, মাস্ক, আইডিকার্ড হোল্ডার তৈরি করেন। বললেন, নিজের তৈরি করা জিনিস ব্যবহার করতে ভালোলাগে।
রাজধানীর মগবাজারের বাসার একটি রুমকে অনেকটা নিজের কারখানা বানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন জিনিস তৈরির পর বর্তমানে নতুন চিন্তা মাথায় প্রবেশ করেছে। পরিচিতরা তাদের পছন্দের জিনিস তৈরি করে দিতে অর্ডার দেয়া শুরু করেছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তার কথায়, এখন নয় ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে কাজ করার চিন্তা করবেন। তিনি বলেন, লেখাপড়া শেষে চাকরি হলে ভালো। সবাই তো চাকরি পায় না। তাই চাকরির পিছনে ছুটে সময় নষ্ট না করে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কিছু একটা করলে তা বৃথা যায় না। তিনি আরও বললেন, ইচ্ছা শক্তি নিয়ে পা বাাড়লে একজন উদ্যোক্তা হওয়া কোনো কঠিন কিছু নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন