বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা না মানলে বিতর্ক বন্ধ হবে না

সংসদে আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিএনপি জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ না করা পর্যন্ত কোনো তর্ক-বিতর্ক বন্ধ হবে না। তবে বিএনপি গ্রহণ করুক আর না করুক তাতে বঙ্গবন্ধুর কিছু যায় আসে না।

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিএনপির সদস্য হারুনুর রশীদ ও আইনমন্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য শুরু হয়। আইন প্রণয়ন কার্যক্রম চলার সময় সংশোধনী, যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা ও মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় উভয়ে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমির চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আমার প্রশ্ন, যদি খুনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হতেন, কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে ২৬ সেপ্টেম্বর এই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করা হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করা যাবে না? এরকম তো কেউ করেনি।

আনিসুল হক বলেন, এই সংবিধান বলেন, আর সংবিধান যদি নাও ধরেন, এইটা জনগণের সিআরপিসিতে অধিকার। কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিকিউরেও অধিকার যে একটা হত্যাকান্ড যদি সংঘটিত হয় বা একটা অপরাধ যদি সংঘটিত হয়, সে থানায় গিয়ে একটা এজাহার দায়ের করতে পারে। সেই অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছিলেন ২১ বছর, এটাও কারেক্ট করেননি। আর আজকে আপনি বিএনপির সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন যে এই তর্ক-বিতর্ক বন্ধ হোক।

আনিসুল হক বলেন, সেদিন সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের এখন যে সম্পাদক, তিনি বিএনপি সমর্থিত একজন ভালো ক্যাডার। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কালুরঘাটে সেদিন যদি খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতো এবং যদি গুলি না করত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপরে তাহলে স্বাধীনতা কোথায় থাকতো সেইটা তিনি উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস নাকি অন্যরকম হতো। যারা এখনো স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি, সেখানে যারা এরকম মিথ্যা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায় তাদের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে বলে কেউ মনে করবে?

এর আগে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি’র হারুনুর রশীদ বলেন, দেশে হানাহানি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ১৫ আগস্টের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোথায় ছিল। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। পার্লামেন্ট ছিল আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধুর লাশকে সৎকার না করে সংসদ বহল রেখে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে। যারা শপথ নিয়েছিলেন তারা সকলেই আওয়ামী লীগের। আমরা ৪৫ বছর আগের ওই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে চাই। জাতীয় নেতাদের সম্মান জানাতে চাই। যারা যেটা প্রাপ্ত, সেটা দেওয়ার মাধ্যমে জাতির কল্যাণ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন