পোশাক শিল্পের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী পোশাক মালিক সমিতি বিজিএমইএ এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপনসিবল অ্যাক্রেডেটেড প্রোডাকশন (ডব্লিউআরএপি)। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ডব্লিউআরএপি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ান এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মিরান আলীর মধ্যে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা উঠে আসে। সাক্ষাতকালে ডব্লিউআরএপির কমপ্লায়েন্স অ্যাসুরেন্সের সিনিয়র পরিচালক হং মেই এবং কমপ্লায়েন্স প্রশাসনের পরিচালক সৃষ্টি শর্মা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ সভাপতি পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের ব্যবসা স¤প্রসারণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের স্বার্থে বিজিএমইএ ও ডব্লিউআরএপি কীভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে ও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান দুটি কোন কোন ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য সার্টিফিকেশনকে আরও সহজতর করতে এবং বিশ্বে পোশাক সোর্সিংয়ের নিরাপদ ও অনুক‚ল উৎস হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য কীভাবে আরও সহযোগিতামূলক ও সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা যেতে পারে, সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। হংকং ভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব, শৃঙ্খলাজনিত অনুশীলন, বৈষম্য, কাজের সময় এবং মজুরিসহ কমপ্লায়েন্স ও ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং এর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশের ১৪৫টি পোশাক কারখানা লিড (লিডারশীপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ডিজাইন) সনদপ্রাপ্ত। এগুলোর মধ্যে ৪২টি লীড প্লাটিনাম-রেটেড, ৯১টি লীড গোল্ড-রেটেড। ৫০০ টিরও অধিক কারখানার সনদ পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে ডব্লিউআরএপির সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আবেদিস সেফেরিয়ানের সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন