রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গিদের দ্রুত বিচারে বিভাগীয় শহরে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন হবে : আইনমন্ত্রী

সংসদে মন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী মো. আনিসুল হক বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে সাতটি বিভাগীয় শহরে সাতটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এই ট্রাইব্যুনাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের চেয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বিচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি একথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত আসনের সরকার দলীয় সদস্য বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌশলীগণকে সাক্ষী উপস্থিত করে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছে। জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো যে সকল আদালতে বিচারাধীন আছে, সেসকল আদালতসমূহে যেন সার্বক্ষণিকভাবে বিচারক নিযুক্ত থাকেন অর্থাৎ বিচারক শূন্যতার কারণে এ সকল মামলার বিচার কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ সজাগ দৃষ্টি রাখছে। জঙ্গিবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে এবং অভিযুক্ত জঙ্গিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সদা সচেষ্ট ও যতœবান রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
একই প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, ঢাকা মহনাগরে ৯, ঢাকা জেলায় ৮, ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোনায় ১, মানিকগঞ্জে ১, নরসিংদীতে ৪, জামালপুরে ৪, শেরপুরে ১, কিশোরগঞ্জে ৩, নারায়ণগঞ্জে ১১, টাঙ্গাইলে ৫, গাজীপুরে ২, ফরিদপুরে ১, রাজবাড়িতে ১, গোপালগঞ্জে ১, মাদারীপুরে ১ ও শরীয়তপুরে ১টি জঙ্গি সংশ্লিষ্ট মামলা রয়েছে। আইনমন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬, রাজশাহী বিভাগে ২৭, খুলনা বিভাগে ১২, বরিশাল বিভাগে ৭, সিলেট বিভাগে ৮ এবং রংপুর বিভাগে ১৯টি জঙ্গি সংশ্লিষ্ট মামলা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, অধঃস্তন আদালতের কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ই-জুডিশিয়ারি নামক একটি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আদালতসমূহ ডিজিটালাইজড হবে এবং আধুনিক কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং গতিশীল হবে।
সরকারি দলের এ কে এম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, অপরাধের সঙ্গে জড়িত নিকাহ রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার বাল্য বিবাহসহ যে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে এবং সেটা প্রমাণিত হলে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়।





 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন