ঝিনাইদহ পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত পাবলিক পার্কের (শিশু পার্ক) মাঠ (দুই দশমিক ১৮ শতাংশ) থেকে মসজিদ ছাড়া অন্যান্য সব অবকাঠামো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তা অপসারণ করে মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আবেদনকারী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)র পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী এবং এডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর।
এর আগে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে ওই শিশু পার্কে বহুতল ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। একইসঙ্গে পাবলিক পার্কের (শিশু পার্ক) শ্রেণী অপরিবর্তিত রেখে জমিটি ‘পার্ক’ হিসেবে সংরক্ষণ ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে পাবলিক পার্কের (শিশু পার্ক) মাঠের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ কাজকে কেন বিবাদীদের ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়। পরিবেশ, স্থানীয় সরকার এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন আদালত। ২০১৯ সালে করা রিট পিটিশনে বলা হয়, এলাকার শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পার্কটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এ পার্কেই পালন করা হয়। প্রতিদিন অন্তত ২ হাজার মানুষ এ পার্কে ভ্রমণ করে থাকে। কিন্তু অতি সম্প্রতি ঝিনাইদহ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পার্কটিতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে পার্কে বিদ্যমান শিশুদের খেলার সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে গাছ। মাটি ভরাট করা হয়েছে এবং পাইলিংয়ের কাজ চলছে। এলাকাবাসী পাবলিক পার্কটি (শিশু পার্ক) রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসী বেলার কাছে আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন