শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত-ড. মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। দেশের মানুষের মূল্যবোধের কোন অভাব হয়নি। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মূল্যবোধের অভাব হয়েছে। গতকাল এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ স্মরণে এই সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারই অনৈতিকভাবে গঠিত হয়েছে। একটি সরকার গঠন করতে দেড়শ’র অধিক সংসদ সদস্য প্রয়োজন হয়, সেখানে ১৫৩ জনই বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন। এর রেশ এখন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগকে সরকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও হত্যাসহ যাবতীয় অপকর্মের ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। শুধু খাদিজা বেগম নার্গিস নয় সারাদেশে তারা নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের অপকর্ম করছে। ছাত্রলীগ নষ্ট হয়ে গেছে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করেছেন মূল্যবোধের অভাবে চাপাতি দিয়ে খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বললেন না ছাত্রলীগের ছেলেরা এ অপকর্ম করেছে। এর জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমাও চাইলেন না।
নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি করার বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে সার্চ কমিটির ভূমিকা আমরা দেখেছি। তারা রকিব মার্কা ইসি জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। যারা জাতীয় থেকে স্থানীয় কোন নির্বাচনই সুষ্ঠূ করতে পারেনি। তিনি বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলোকে নিয়ে কমিটি গঠন করে ইসি নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, সরকার গণতন্ত্র হত্যার কারণেই মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে। খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর সময় কেউ এগিয়ে যায়নি। ছাত্রলীগ দেশে একের পর এক গুম, খুন করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গি দমনে ঐক্যের ডাক দিলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বরং উল্টো তারা এখন বিএনপিকেই জঙ্গি বানানোর অপচেষ্টা করছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, মহানগর নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইসমাইল তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম, শামসুল আলম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, শরীফ মোস্তফা জামান লিটু, ইসতিয়াক আহমেদ বাবুল, ইলিয়াস হোসেন, ফারুকুল ইসলাম, পীরজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম, যুবনেতা কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন