চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ১২৮ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবী সংগঠন উল্লেখ করে সমিতির নেতারা বলেছেন, সমিতির ভবনসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত। এছাড়া ভবনগুলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। এসব ভবন নির্মাণের সময় কোনও পাহাড় বা টিলা কাটা হয়নি। গতকাল রোববার জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক পরীর পাহাড় (কোর্ট হিল) থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সরকারি ঘোষণার প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন বলেন, আমরা বৈধভাবেই এখানে অবস্থান করছি। দলিলমূলে এখানে আছি। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির স্থাপনাসমূহকে উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গত ২ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। অথচ কোর্ট বিল্ডিংয়ের চারপাশে সমিতির কোনও অবৈধ স্থাপনা নাই। কোনও ছাত্রাবাসও নাই। দোকান-পাট, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, বস্তি ইত্যাদি স্থাপনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক লিজ প্রদানকৃত জায়গায় ও কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক ভাড়ায় লাগানো হয়েছে। যা থেকে তারা মাসিক ও দৈনিক ভাড়া উত্তোলন করে।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা আইনজীবী নেতারা কখনোই অপসারণ করেনি দাবি করে তিনি বলেন, আইনজীবী ভবন সংলগ্ন রাস্তার বৈদ্যুতিক পোল, ব্রিজ ইত্যাদিতে এখনও প্রশাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আদালত এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সমিতির প্রত্যেকটি ভবনের সম্মুখে নিজস্ব ব্যয়ে ২০১৫ সাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনজীবী সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সংযোগ নিয়ে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনতোষ বড়ুয়া, আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন