শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

মন্দঋণের ঝুঁকিতে চীন

প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট ডেস্ক : চীনের জন্য বর্তমানে আবাসন বুদ্বুদ অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনঝেনে এক বছরে বাড়ির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। শুধু শেনঝেনই নয়, বুদবুদ ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির বিভিন্ন শহরে। আবাসনের দরবৃদ্ধি আটকানোর জন্য জিনপিং প্রশাসনের ওপর চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকারও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। গত মাসের শেষ দিকে ডয়েচে ব্যাংক জানায়, ২০১৮ সালে চীনের আবাসন বাজারে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে। চলতি বছরের শুরুতে গোল্ডম্যান স্যাকস জানায়, বাড়ির দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় চীনের আবাসন খাত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাড়ির দাম কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও বিপত্তি রয়েছে। ডিবিএস ভিকার্স হংকং লিমিটেড বলেছে, বাড়ির দাম ৩০ শতাংশ কমানো হলে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি ইউয়ান (৬১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) ঋণের ৪ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়বে। কমার্জব্যাংক বলছে, বাড়ির সম্ভাব্য দরপতনের ফলে ৪ লাখ কোটি ইউয়ান মন্দঋণের বোঝা তৈরি হবে। আর প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ধারণা করছে, আবাসন খাতে বিদ্যমান ঝুঁকির কারণে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নন-পারফর্মিং লোনের অনুপাত ৬ শতাংশে উন্নীত হবে— যা বর্তমানে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশে অবস্থান করছে। পিমকোর সিঙ্গাপুর শাখায় উদীয়মান অর্থনীতির জন্য পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন রোনাল্ড মিথ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনে বাড়ির দাম যে হারে বেড়েছে, বিশেষ করে গত বছরে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। যদি আবাসন মূল্য বছরওয়ারি ৩০ শতাংশ বা এর বেশি বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে বুদ্বুদের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। ডিবিএস ভিকার্স হংকং লিমিটেডের বিশ্লেষক শুজিন চেন বলেছেন, ‘চীনের ব্যাংকিং খাতের জন্য আবাসন খাত সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন