শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা আজ

প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে দুর্গতিনাশিনী মা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মাধ্যমে গতকাল মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মহাঅষ্টমীর তিথি দিবা ৬টা ৩ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা প্রশস্তা ও মহাং অষ্টমীর ব্রতোপবাস। বিকেল ৫টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা আরম্ভ এবং সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটের মধ্য পূজা সমাপন করতে হবে। এছাড়াও অষ্টমী পূজা শেষে অঙ্গুলী প্রদান ও ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ। ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে মহাঅষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ৩ মিনিটে। কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। সন্ধিপূজা আরম্ভ হবে বিকেল ৫টা ৩৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৬টা ২৭ মিনিটের মধ্যে। মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের তন্ত্রধারী স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) জানান, মহাঅষ্টমীর দিন সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে জগতমাতার (দেবী দুর্গা) আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য।
গতকাল মহাসপ্তমীর দিন সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। মা দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। দেশের পূজা ম-পগুলোতে ঢাকের বোলে ধ্বনিত হয়েছে বাঙালির হৃদয়তন্ত্রীর বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
উৎসবে মাতোয়ারা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবার গন্তব্য পূজাম-প। নেই কোন ভেদাভেদ। সবাই আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন শারদীয় দুর্গাপূজার। শিশু-কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা বাহারি পোশাক আর নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে।
শাস্ত্রীয় বিধি মতে, সপ্তমীতে পূর্বাহ্ণ ৯-৫৭’র মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তাদি কল্পারম্ভ এবং সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্ত। আজ মহাঅষ্টমী। পূর্বাহ্ণ ৯-৫৮ মধ্যে মহাঅষ্টমীর কল্পারম্ভ ও মহাঅষ্টমী বিহিত পূজা প্রশস্ত। রাত ১২-৩৫ গতে সন্ধিপূজা আরম্ভ, ১২-২৪ সন্ধিপূজা সমাপন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা কমিটি, গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ, কলাবাগান সর্বজনীন পূজাম-প, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পূজাম-প ঘুরে দেখা গেছে উৎসব আমেজ। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ও ব্যক্তিগতভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ম-পগুলোতে হিন্দু পূজারিরা ভিড় করছেন দেবীর আরাধনায়।
এ বছর বাংলাদেশে ২৯ হাজারেরও বেশি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজাম-পের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাঁচ দিনের শারদ উৎসব শেষ হবে ১১ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে।
এদিকে গতকাল (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর লালবাগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শন শেষে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের জন্য এবং এখানে যার ধর্ম সে স্বাধীনভাবে সম্মানের সঙ্গে পালন করবে। বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ঢাকেশ্বরীতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি পূজাম-প পরিদর্শন করে। পরে মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষ করে প্রধানমন্ত্রী গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পূজাম-প পরিদর্শন করেন। পূজা পরিদর্শন শেষে তিনি রামকৃঞ্চ মঠ ও মিশন পূজা কমিটি আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন