চট্টগ্রামের কর্তফুলীতে ধানক্ষেত থেকে এক কিশোর এবং সাতকানিয়ায় পুকুর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে কর্তফুলীর চরলক্ষ্যা থেকে মো. শাকিল (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাকিল পটিয়ার বড়লিয়া বুধপুরা বেলখাইন এলাকার মো. নাজিমের ছেলে। শাকিল কয়েক বছর ধরে চরলক্ষ্যা কুইদ্দারটেক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতো এবং পুরাতন ব্রিজ এলাকার একটি এলপি গ্যাসের দোকানে চাকরি করতো।
তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান থানার ওসি দুলাল মাহমুদ। তিনি জানান, তার গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর শাকিল আর বাসায় ফেরেনি। সকালে ধানক্ষেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে শাকিলের বাবা এসে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে সাতকানিয়ায় নিখোঁজের আড়াই ঘণ্টা পর পুকুর থেকে আজমীর ইসলাম তাইহান (৮) নামে এ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে স্থানীয় তামিরুল উম্মাহ মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র। তাইহান ওই এলাকার সরোয়ার কামালের ছেলে। উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর রামপুর বদ্দার পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সে প্রতিদিনের মত আসরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাইহানকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে বদ্দার পুকুর ঘাটে তার জুতা দেখতে পেয়ে লোকজন পানিতে খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুকুর থেকে তাইহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওজু করতে গিয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন