সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে ৪ নিউ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে দুর্গা মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর কালি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ দেয়ায় ৪ নিউ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার মন্ডলেরহাট নামক স্থানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী (খানপাড়া) গ্রামের ইউসুফ খানের পুত্র ফয়সাল খান ফাগুন (১৭), আব্দুল ওয়াহাব খানের পুত্র নজরুল ইসলাম খান (৩৫), আব্দুল হামিদ মিয়ার পুত্র আতিকুল ইসলাম (১৬) ও আদর আলীর পুত্র শাহীন (১১)। তাদের কাছ থেকে পশ্চিম ছাপড়হাটী (কুশ্টারী) গ্রামের মূর্তি ভাংচুর, কালির মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রেখে যাওয়া চিঠির অনুরূপ চিঠি, কালি মন্দিরের ঘন্টা ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। গত ৩ অক্টোবর মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলে। থানা অফিসার ইনচার্জ ইসরাইল হোসেনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছায় বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক শনিবার রাতে মন্ডলের হাটে চেকপোষ্ট বসায় পুলিশ। এসময় একটি মোটর সাইকেল যোগে ৩ যুবক কোথাও যেতে থাকে। ওসি ইসরাইল হোসেনের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপর তাদের তল্লাশি করে বিভিন্ন মন্দিরে দেয়া হুমকি পত্রের অনুরূপ কপি উদ্ধার করে পুলিশ। একপর্যায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মূর্তি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এছাড়া তাদের স্বীকারোক্তি মতে শিশু জেএমবি শাহীনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সুন্দরগঞ্জ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুর উপজেলা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর হাটে মূর্তি ভাংচুরের ঘটনাও স্বীকার করে নিউ জেএমবির সদস্য বলে দাবি করে। শিশু শাহীন শুধু সাদুল্যাপুর উপজেলায় মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করে।
থানা অফিসার ইনচার্জ ইসরাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গ্রেফতারকৃত ৪ জনেই নিউ জেএমবির সদস্য। মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় ইতোমধ্যে মামলা হলেও তাতে অজ্ঞাত নামা আসামী ছিল। গ্রেফতারকৃতদের রবিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য ও ঘটনার সাথে মিল থাকায় সাদুল্যাপুর ও সদর থানায়ও পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। ওসি ইসরাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন