নগরীর খুলশী থানার জালালাবাদে এক বাড়ির মালিককে খুন করা হয়েছে। খুনের শিকার নিজাম পাশার (৬৫) বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার ধুরং এলাকায়। গতকাল সোমবার সকালে নগরীর খুলশী থানার জালালাবাদ আবাসিক এলাকার জমির হাউজিং সোসাইটির সাততলা ভবনের নিচ থেকে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নির্মাণাধীন ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মো. হাসান পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে খুনের জন্য তাকে সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে স্থানীয় চাঁদাবাজরাও এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন নিজাম পাশা। তার দুই ছেলে এখন প্রবাসে রয়েছেন। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। দেশে এসে স্ত্রীকে নিয়ে ফটিকছড়ির গ্রামের বাড়িতে থাকেন তিনি। জমির হাউজিং সোসাইটিতে তার একটি সাততলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। গ্রামের বাড়ি থেকে এসে ভবন নির্মাণ কাজ দেখাশোনা করতেন তিনি। রোববার সকালে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের বেতনের টাকা দিতে ফটিকছড়ি থেকে ওই বাড়িতে আসেন। রাতে তার মেয়ে নাজমুন শবনম ফোন করে তার ফোনটি বন্ধ পান। এরপর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে রাতেই খুলশী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। সকালে বাড়ির নিচ তলায় ময়লার ভাগাড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন জানান, ভবনের কেয়ারটেকার রাত থেকে পালিয়ে আছেন। তার কক্ষে হত্যাকান্ডের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হাত-পা বেঁধে তার কক্ষে নিজাম পাশাকে খুন করা হয়। এরপর লাশ টেনে-হিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে আবর্জনার ভাগাড়ে ফেলে রাখার আলামত রয়েছে। টাকার লোভে তাকে হত্যা করে কেয়ারটেকার পালিয়ে যেতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কতিপয় সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন থেকে নিজাম পাশার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে তিনি কখনো তাদের চাঁদা দেননি। বাড়ির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় নিজাম পাশা খুনের সাথে চাঁদাবাজদের যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন