স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে পুলিশের ওপর গুলি চালায় বলে পুলিশকেও পাল্টা গুলি চালাতে হয় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। অভিযানকালে জঙ্গিদের হত্যা করা নয়, বরং জীবিত ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেছেন। রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযানের সময় জঙ্গিদের প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জঙ্গিদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা ইত্যাদি থাকায় তারা তা দিয়ে পুলিশের উপর আগে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকেও গুলি চালাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গিদের জীবিত ধরার চেষ্টা করছি না, এমনটি নয়। তাদের জীবিত ধরতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আজিমপুরে তাদের জীবিত ধরতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তা ছাড়া জীবিতদের তথ্যের ভিত্তিতেই তো অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেএমবির একটি গ্রুপের তথ্য অন্য গ্রুপের সদস্যরা জানে না। আনসার-আল-ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলাটিম-এবিটি) নেতা এবং জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড (মূলহোতা) মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে আইনের আওতায় আনতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সময় সুযোগ মতো তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
পরবর্তী সময়ে নব্য জেএমবির হাল কে ধরতে যাচ্ছে তা জানতে গোয়েন্দারা গবেষণা করছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন