শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কৃষিতে নতুন এক উপদ্রব সাদা মাছি

সারাদেশে কলা ও নারিকেল বাগানে সংক্রমণ বাড়ছে

মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সর্পিলাকার সাদা ফড়িং নামে এক নতুন উপদ্রব কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মাঠের কলা বাগান থেকে নারিকেল গাছে সংক্রমণে চিন্তিত দেশের শীর্ষ কীটতত্ত্ববিদরাও। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া ও দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ কলার বাগান, যশোরসহ দক্ষিণের নারিকেল উৎপাদনকারী অঞ্চলের শত শত নারিকেল গাছে চলছে সাদা ফড়িংয়ের উপদ্রব। সর্পিলাকার এই সাদা ফড়িংয়ের সংক্রমণের ফলে গাছের পাতা কালচে রং ধারণের পর সেগুলো পোড়া পোড়া হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশেষ করে নারকেল গাছে এর প্রভাব অনেক বেশি।

দ্রুত এই সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে নারিকেলের ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সচেতন চাষি ও বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদগণ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ও বর্তমানে ঈশ^রদীর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। যশোরের নারিকেল বাগানে এই উপদ্রবের খবর প্রথম আসে ২০১৯ সালে। তবে আশঙ্কার বিষয় হল এখন সারাদেশেই নারিকেল গাছে এর সংক্রমণের খবর আসছে ।

নারকেলের গাছে এই সংক্রমণ অভিনব এবং নতুন। এছাড়া নারিকেল চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাষে জড়িতদের মতো সচেতন নয়। ফলে এই মাছি দমনের মত কীটনাশক থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণেই এর ব্যাপক বিস্তার হলে তখন হাজার নারিকেল গাছ মরে যেতে পারে। স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে ফলনও।
অন্যদিকে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আরেক সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বগুড়ার কন্দাল গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেন, বগুড়া ও জয়পুরহাট এলাকায় প্রচুর কলা উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছর মোকামতলার কলা বাগানে এর সংক্রমণ বেশি লক্ষনীয়। তবে দিনাজপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকার কলা বাগানগুলোতেও এর সংক্রমণ হয়েছে মর্মে খবর এসেছে।

তিনি জানান, স্পাইরাল হোয়াইট ফ্লাই বা সর্পিলাকার সাদা মাছির সংক্রমণ আগেও ছিল। তখন শুধুমাত্র পেয়ারা গাছে এর সংক্রমণ হত। কিন্তু এখন নারিকেল ও কলার গাছে এই সংক্রমণ চিন্তার বিষয়। এটি দমনে বাজারে কীটনাশক থাকার কথা জানিয়ে তিনি এর ব্যবহার ও প্রয়োগের নিয়মাবলী জানতে তাগিদ দেন।

হঠাৎ কেন এই সংক্রমণ? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. দীপক সরকার ইনকিলাবকে বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বৈশি^ক উত্তাপ বৃদ্ধি অন্যতম কারণ হতে পারে। প্রতিকারের জন্য মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যেহেতু বাজারে এসব দমনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক রয়েছে তাই চাষি পর্যায়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা বা সংক্রমণ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন