বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে পুরো ঘটনার কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইলেন হু প্রধান। এই ঘটনাকে তিনি সংস্থার ব্যর্থতা এবং ব্যক্তিগত গাফিলতি বলে উল্লেখ করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, নির্যাতিতাদের বলতে চাই- আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অপরাধীদের শাস্তির বিষয়টি নিয়েও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। কঙ্গোয় ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইবোলা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্থানীয়ভাবে নিয়োগ করা কর্মীরা ছাড়াও দেশের আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরা এই অপকর্ম করেছিল।
তদন্ত কমিশন কয়েক ডজন মহিলার সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যাদের যৌনতার বিনিময়ে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, অথবা যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। একই সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর আফ্রিকার পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি বলেছেন, ডব্লিউএইচওর অংশ হিসেবে আমরা এই মহিলাদের এবং মেয়েদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন এবং দ্য নিউ হিউম্যানিটারিয়ান একবছর ধরে তদন্ত চালিয়েছিল। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ৩৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। তাতে এই যৌন হেনস্থার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ৫০-এরও বেশি মহিলা ইবোলা সহায়তা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে হু-র কর্মী ছাড়াও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং নামকরা বেসরকারি সংস্থার কর্মী রয়েছেন। অভিযুক্তরা তাঁদের নোংরা প্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও যৌন নির্যাতন করেছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এই নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এই ধরনের কাজে বাধা দিলে কাজ চলে যেতে পারে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল অনেককে।
পুরো ঘটনায় হু-র শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আঙুল তুলেছে তদন্ত কমিশন। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ার প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ডব্লিউএইচও-র শীর্ষস্থানীয় কর্তারা গোটা বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাও তাঁরা উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেননি। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন