খুচরা বাজারে গত বছর হঠাৎ আলুর কেজি ছাড়ায় ৪০ টাকা। দামের রাশ টানতে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বেধে দেয় সরকার। ভালো দাম, আর রাসায়নিক সারে সরকারের ভর্তুকিতে চলতি বছর বেশি পরিমাণ আলু চাষ করেন কৃষক। দেশে বছরে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। সেখানে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ মেট্রিক টন। খুচরা বাজারে বর্তমানে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজিদরে আলু বিক্রি হলেও কোল্ড স্টোরেজে দাম ১০ টাকার নিচে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে হিমাগার মালিকদের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিক্রি বাড়াতে না পারলে মজুদ আলুর ২০ লাখ মেট্রিক টন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, সরকার ৮০০ কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দেয়। এতে কৃষকরা বেশি হারে আলু চাষ করে। তারা ভর্তুকি না দিলে উৎপাদন কম হতো, বাজারে চাহিদা থাকত, দাম পাওয়া যেত। ব্যবসায়ী ও কৃষক সবাই লাভবান হতো। ২০ লাখ টন আলু এবার বিক্রি করা না গেলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে বলে জানান বাবু। যেখানে কৃষক, হিমাগার মালিক ও ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তিনি। আলু রপ্তানিতে ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা করা, উৎসে কর প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোশারফ হোসেন দাবি জানান, টিসিবির ডিলার ও ওএমএস কার্যক্রমে আলু বিক্রি জোরদার করা হোক। আলু রপ্তানিতে ৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার একটি রেফার ভেসেল সরকারিভাবে কেনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া রপ্তানির উপযোগী আলু উৎপাদনে উন্নত বীজ, মাটিজনিত রোগবালাই দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেন। আলুর তৈরি খাদ্যমেলা উপজেলা, জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়ে আলু থেকে তৈরি নতুন নতুন সুস্বাদু খাবার জনপ্রিয় করার দাবি জানান মোশারফ হোসেন। হিমাগারের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিদ্যুত বিল স্থগিত রেখে তা পরে সারচার্জ ছাড়া পরিশোধের সুযোগ চান ব্যবসায়ীরা। চালের ওপর চাপ কমাতে আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর আবাসিক হলে আলু খাওয়ানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন