ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় সেনা ও স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আহত হয়েছেন এক জওয়ান। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পাম্পোরের বাণিজ্যিক উন্নয়ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে পড়ে ৩ স্বাধীনতাকামী মুজাহিদ। নজর এড়াতে প্রথমে বহুতলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে সেটি ঘিরে ফেলে দেশটির নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনী। এর পরই দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে এক জওয়ান আহত হয়েছেন। পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সরকারি ভবনটির ভিতরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বলা হচ্ছে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের কৌশলের ফলে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, শ্রীনগর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালিয়েছিল মুজাহিদরা। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে সেবার ৩ আধাসামরিক সেনা এবং অপর একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরের ঈদগাহ অঞ্চলের বেসামরিক তরুণ জুনায়েদ আহমাদ আকুনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর মধ্যে হুরিয়াৎ (গ), হুরিয়াৎ (ম), জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট, ডাকতারান-ই-মিলাত, তেহরেক-ই- মাঝামাত প্রমুখ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, জুনায়েদ নিরপরাধ। তাকে বিনা উস্কানীতে ভারতীয় বাহিনী হত্যা করেছে। হুরিয়াৎ আন্দোলনের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি গিলানি এক শোক বার্তায় বলেন, ‘নয়াদিল্লি তার সামরিক শক্তির মাধ্যমে আমাদের ওপর দমন-পীড়ন ও অত্যাচার করছে। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জুনায়েদ নিরপরাধ। তাকে হত্যার মাধ্যমে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা প্রকাশ পেয়েছে। ডাকতারান-ই-মিলাত এ হত্যাকা-ের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ভারতীয় বাহিনীর অত্যাচার থেকে বেসামরিক নিরীহ লোকেরাও রেহাই পাচ্ছে না। জুনায়েদ হত্যাকা- তাদের বর্বরতার প্রতিচ্ছবি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুনায়েদ তার বাড়ির বাহিরের রাস্তায় অবস্থান করার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিক্ষেপ করা পেলেট গানের আঘাতে মারত্মকভাবে আহত হন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির একদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। গ্রেটার কাশ্মীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন