গোদাগাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের ময়েন আলীর সাংবাদ গত ৯ অক্টোবর ইনকিলাবে প্রকাশের পর থেকে প্রশাসন নড়ে বসেছে।
গত রোববার কলেজ গর্ভনিং বডির জরুরী সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শামসুল কবীর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তদন্ত করেছেন।
শিক্ষক ময়েন আলীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলার গুলগফুর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং বালিয়াঘাটা গ্রামের আশরাফুল মাস্টারের ছেলে ময়েন আলী (৪২) তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে কলেজ ছাত্রীটিকে ব্লাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে শিক্ষক ময়েন আলী। স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানে ময়েন আলী তার ব্যক্তিগত ল্যাপটপ মেরামত করতে গেলে ছাত্রীর সঙ্গে ময়েন আলীর ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেট ও এলাকার শত শত মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে কলেজ ছাত্রী ঢাকায় তার স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালায়। তখন তার স্বামী তাকে তার পিতার বাড়ি বালিয়াঘাটা গ্রামে পাঠায়। এখন ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছে।
বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষক ময়েন আলী অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার লোকজন আইনী আশ্রয় না নিতে ধর্ষিত ছাত্রীটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এর আগে আরও কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে শিক্ষক ময়েন আলী। কিন্তু লজ্জায় ও নিজের মানসম্মান হারানোর ভয়ে ওই সব ছাত্রী কোন অভিযোগ করেনি। অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত থেকে ছাত্রীদের জীবন নষ্ট করলেও ময়েন আলী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি গুলগোফুর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রী ধর্ষণ ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পেয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে জড়িত শিক্ষক ময়েন আলী পক্ষ নিয়েছে বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ। জড়িত শিক্ষক ময়েন আলী তিনদিনের ছুটি নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছেন। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শামসুল কবীর জানান তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন