যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সেক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফৌজদারি আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারী যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছে হাইকোর্ট।
গতকাল সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু’র সভাপতিত্বে সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশগ্রহণ করেন। বিশেষভাবে আমন্ত্রণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আ স ম ফিরোজ, মোছা. মাহাবুব আরা গিনি, মেহের আফরোজ, মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং আরমা দত্ত। বৈঠকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তাবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) এর সদস্যগণের সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যগণের পরামর্শ বিষয়ক কর্মশালায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং দুই বিভাগের অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রধানগণ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির বৈঠকে পুলিশের উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দেশে মামলার সংখ্যা ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। বর্তমান আইজিপি ( বেনজীর আহমেদ) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মামলার সংখ্যা কমেছে। বিষয়টিকে অপরাধ কমার প্রবণতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন