স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির জাতীয় ষষ্ঠ কাউন্সিল। নাটকীয় কোন ঘটনা না ঘটলে আগামী ১৯ মার্চ কাউন্সিল হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। একইসাথে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ১১ টি কমিটি এবং একটি উপ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। পাশাপাশি এসব কমিটিকে দেশের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলা শাখায় সাংগঠনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতরাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে রাত সোয়া নয়টার পরে বিএনপির আসন্ন জাতীয় ষষ্ঠ কাউন্সিল সামনে রেখে করণীয় নির্ধারণে আলোচনার জন্য দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব:) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক নেতা জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হবে। প্রস্তুতির জন্য সিনিয়র ১১ জন নেতার নেতৃত্বে এগারোটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাউন্সিলের আগেই চেয়ারপার্সন নির্বাচন হবে। আগামী সপ্তায় তফসীল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএইচ খানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি রাজি না হলে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে নির্বাচন কমিশনার করা হবে। কমিশনার ঠিক হলেই আগামী
আরেক নেতা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে যাবে বিএনপি। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে সিনিয়র নেতাদের তৃণমূলে যোগাযোগ রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটির বৈঠক করেন বেগম জিয়া। ওই বৈঠক থেকে আগামী ১৯ মার্চ ঢাকায় বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। কাউন্সিলের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র অথবা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দলটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন